রাত ৪:৫৩,   শুক্রবার,   ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ,   ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

করোনায় নতুন করে কেউ আক্রান্ত হয়নি, সুস্থ আরও ৪ জন

নিউজ সুনামগঞ্জ ডেস্ক :
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আর কেউ আক্রান্ত হয়নি। ফলে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা আগে যা ছিল তা-ই আছে। অর্থাৎ দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮। নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও চারজন। এই নিয়ে কোভিড১৯ সংক্রমিত মোট ১৫ জন সুস্থ হয়েছেন। আর মৃতের সংখ্যা ৫ জনই আছে।
শনিবার (২৮ মার্চ) বেলা ১২টা ১০ মিনিটে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) করোনাভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন লাইভ ব্রিফিংয়ে এ সব তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বমোট ৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টার পরীক্ষায় আমরা আর কোনো আক্রান্ত রোগী পাইনি। অতএব আক্রান্ত যা ছিল তাই আছে। দেশে মোট নিশ্চিত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৮। আমরা বরং একটা সুখবর বলতে চাই, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজন কোভিড আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। অর্থাৎ এ পর্যন্ত ১৫ জন কোভিড মুক্ত হয়েছেন।’
সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘যারা কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন এবং রোগ নির্মূল হয়েছে তাদের পর্যালোচনা করে দেখেছি, তারা সর্বোচ্চ ১৬ দিন হাসপাতালে ছিলেন। যখন থেকে তাদের মধ্যে লক্ষণ দেখা দিয়েছে। তাদেরকে লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। একজন ছিলেন কিডনি সমস্যাজনিত তাকে আমরা ডায়ালাইসিস করেছি।’
তিনি জানান, যাদের বয়স ৬০ এর বেশি তারা ঘরের একেবারেই ঘরের বাইরে যাবেন না। গত২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআরের হটলাইনে ৩৪৫০ কল এসেছে, এর সবই কোভিড-১৯ সংক্রান্ত।
বৈশ্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে আইইডিসিআরের পরিচালক বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী সারা বিশ্বে আক্রান্ত হয়েছে ৫ লাখ ৯ হাজার ১৬৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে সংযোজিত হয়েছে ৪৬ হাজার ৪৮৪ জন। বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ২৩ হাজার ৩৩৫। গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে যুক্ত হয়েছে ২ হাজার ৫০১ জন।’
দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি জানান, দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৯৩২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩৯৬। দক্ষিণ এশিয়ায় মৃতের সংখ্যা ১০৫। গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে যুক্ত হয়েছে ২৬ জন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, বিশ্বের সব দেশেই এখন কোভিডের সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রকেই এখন এপিসেন্টার (কেন্দ্রস্থল) হিসেবে বলা হচ্ছে। আমরা যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি, সেগুলো আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। তবে সবকিছুর সফলতা নির্ভর করবে জনগণ নির্দেশনা কতটুকু মেনে চলেছে তার ওপর। যেসব পরামর্শ দেয়া হয়েছে আমি অনুরোধ করব আমরা সকলেই যেন সেগুলো মেনে চলি।’
তিনি সবাইকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানান।