রাত ১১:২৯,   বৃহস্পতিবার,   ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ছাতকে ভাতগাঁও ইউনিয়নে সরকারি চাল বিতরণে অনিয়ম

ছাতক প্রতিনিধি :
ছাতকে ভাতগাঁও ইউনিয়নে সরকারি চাল, ডাল ও আলু বিতরনে অনিয়মের খবর পাওয়া গেছে। ১০কেজি করে চাল বিতরনের সরকারি নির্দেশনা থাকলে ও চাল বিতরন করা হয়েছে সাড়ে ৮কেজি করে। এ নিয়ে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ আর অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
সোমবার ভাতগাঁও ইউনিয়নে সরকারি চাল বিতরণ করেন ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন মাস্টার। চাল বিতরণ নিয়ে সুবিধাভোগিরা কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন। এতে দিনভর ইউনিয়নজুড়ে বিষয়টি বেশ আলোচিত হয়ে উঠে। সকাল ১১টা থেকে চাল বিতরণ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন মাস্টার। বিতরণের কিছু সময় পর ইউনিয়নের সাজু নামের এক উপকারভোগি চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ তুলে এবং চালের প্যাকেটসহ ছবি ফেইসবুকে আপলোড করে। এর পর থেকে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। ইউনিয়নের ১শ ১০ পরিবারের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল, ১ কেজি করে আলু ও আধা কেজি করে ডাল বরাদ্ধ দেয়া হলে চাল ১০ কেজির পরিবর্তে দেয়া হয়েছে সাড়ে কেজি করে। ইউনিয়নের বেশ ক’জন উপকারভোগি চাল কম পেয়েছেন বলে জানিয়েছে। চাল প্যাকিং এর সময় ইউপি সদস্যরা ও ইউনিয়নের নির্ধারিত ট্যাগ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না।
চাল কম দেয়ার ব্যাপারে ইউপি সদস্য সাজিল হোসেন বাবুল জানান, সকাল ১১টায় চাল বিতরণ শুরু করা হয়। এর আগে চাল প্যাকিং করা হয়েছে। কোন ইউপি সদস্য এসময় উপস্থিত ছিলেন না। তবে তার ওয়ার্ডের যে লোক চাল কম পাওয়ার অভিযোগ করেছে সে তার বাড়িতে নিয়ে চাল ওজন করে কম পেয়েছেন।
ইউপি সদস্য সুজাত আহমদ এ ব্যাপারে জানান, তিনি চাল প্যাকিংয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন না। তার ওয়ার্ডের অনেকেই চাল কম পাওয়ার অভিযোগ করেছেন।
ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম জানান, তিনি চাল বন্টন শুরুর কিছু পরে এসেছেন। কিভাবে প্যাকিং হয়েছে তার জানা নেই। চাল ওজনে কম দেয়ার বিষয়টি বিকেলে তিনি শুনেছেন।
ইউনিয়নের ট্যাগ কর্মকর্তা (উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা) আরিফুজ্জামান চৌধুরী জানান, তিনি নির্ধারিত ট্যাগ কর্মকর্তা নন। ঐদিন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাহাব উদ্দিনের সুপারিশে ভাতগাঁও ইউনিয়নে চাল বন্টনে গিয়েছিলেন। চাল-ডাল প্যাকেটের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না। তার ও ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে আগের প্যাকেট করা চাল বিতরণ করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যানের আওলাদ হোসেন মাস্টার এ ব্যাপারে জানান, ইউপি সদস্য-সদস্যা ও ট্যাগ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে চাল-ডাল ও আলু বিতরণ করা হয়েছে। চাল ওজনে কম দেয়ার কোন অভিযোগ কেউ করেনি। বালতি দিয়ে চাল দেয়ায় কিছু কম-বেশি হতে পারে।