রাত ১০:২৫,   শনিবার,   ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

দাবী আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা কর্মচারীদের

স্টাফ রিপোর্টার :
পদবি ও বেতন স্কেল পরিবর্তনের দাবীতে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের কর্মচারী সমিতি এবং বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস) ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২য় দফায় ৩ দিন ব্যাপি পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। ফলে মাঠ প্রশাসনের বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও উপজেলা ভূমি অফিসের কোন দাপ্তরিক কাজ ও নাগরিক সেবা প্রদান করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ১১-১৬ গ্রেডের কর্মচারীগণ সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অফিস প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করেন। সারাদেশের বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ের ১১-১৬ গ্রেডের কর্মচারীগণ এ কর্মবিরতি পালন করছে।
কেন্দ্রের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ২০-২১ জানুয়ারি সকাল ৯ টা থেকে ১১টা ২ ঘন্টা, ২২-২৩ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা ৩ ঘন্টা, ২৭-২৮ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ঘন্টার কর্মবিরতি পালন করা হয়।
আজ বাকাসস, সুনামগঞ্জ শাখার সভাপতি মো: আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সুখেন্দু কুমার দাস, আজিজুর রহমান বাহাদুর, অজন্তা রায়, সুমন সরকার, প্রদীপ রায়, সৌরভ রায় পাথ প্রমুখ।
কর্মবিরতি পালনকালে বক্তারা বলেন যে, মাঠ প্রশাসনের একজন কর্মচারীকে পদোন্নতি ছাড়াই একই পদে দীর্ঘকাল চাকুরি করে অবসরে যেতে হচ্ছে। সরকারি চাকুরিতে পদোন্নতি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু মাঠ প্রশাসনে এর ব্যতিক্রম চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে। সচিবালয়সহ অন্যান্য দপ্তরের কর্মচারীরা যথাসময়ে পদোন্নতিসহ বেতন গ্রেডের সুবিধা ভোগ করলেও একই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে অভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীরা বঞ্চিত।
বক্তরা আরো বলেন, আগামী ২৮ মার্চের মধ্যে দাবী আদায় না হলে বাকাসস কেন্দ্রীয় কমিটি ঢাকায় সমাবেশের মাধ্যমে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহোদয় ‘মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের পদবি ও গ্রেড পরিবর্তনের দাবীকে যৌক্তিক মর্মে স্বীকার করে বলেছেন-খুব শীঘ্রই তাদের পদবি পরিবর্তন করা হবে’।