রাত ৯:৪১,   রবিবার,   ১০ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ২৫শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

উদ্বোধনের অপেক্ষায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স


নোহান আরেফিন নেওয়াজ, দ. সুনামগঞ্জ :
উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নির্মিত হচ্ছে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। প্রায় ২৮ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫০ শয্যাবিশিষ্ট এই আধুনিক হাসপাতালটি চালু হলে উপজেলাবাসীর চিকিৎসার দুর্ভোগ লাঘব হবে এমনটাই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।
জানা যায়, হাওরের উঠানখ্যাত এই উপজেলায় কোনও উপজেলাভিত্তিক চিকিৎসালয় না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো উপজেলাবাসীর। জরুরি ভিত্তিতে কিংবা উন্নতমানের চিকিৎসা পেতে এই উপজেলার মানুষকে যেতে হতো জেলা সদর সুনামগঞ্জ কিংবা বিভাগীয় শহর সিলেটে।
উপজেলার মানুষের চিকিৎসাক্ষেত্রে এমন দুর্দশা নজর এড়ায়নি পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ মান্নান এমপির। আধুনিক ও উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত এই উপজেলার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যান পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ মান্নান। মন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১৮ সালের ১০ ই জুন হাসপাতাল নির্মাণের কার্যাদেশ শুরু হয়।স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্প নির্মাণ কাজের অনুমতিপত্র পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এস এ এস এন্ড গ্রীণ (জেভি)। নির্মাণকাজ প্রায় শেষের দিকে হওয়ায় হাসপাতালটির উদ্বোধনের প্রহর গুনছেন এই উপজেলার মানুষ।
হাসপাতালটির উদ্বোধন হলে চিকিৎসাক্ষেত্রে স্বস্তি ফিরবে সাধারণ মানুষের। জরুরি সেবা থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় নানা রোগের সুচিকিৎসা সেবা মিলবে হাসপাতালটিতে।
উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের শুকুর আলী জানান, আমাদের উপজেলায় ৫০ শয্যার এই হাসপাতাল চালু হলে আমাদের অনেক উপকার হবে। এলাকার পাশেই চিকিৎসা সেবা পাবো। মন্ত্রীর কাছে এটি আমাদের দীর্ঘদিনের দাবী ছিল। তিনি সেটা পূরণ করেছেন।
জয়কলস ইউনিয়নের রিয়াজ উদ্দিন জানান, আমাদের কোনও অসুখ-বিসুখ হলে সুনামগঞ্জ অথবা সিলেটে যেতে হয়। আমাদের এই হাসপাতালটি চালু হলে আমাদের সিলেট-সুনামগঞ্জ যাওয়ার খুব প্রয়োজন হবে না।
এ বিষয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নুর হোসেন বলেন, আমাদের হাওরপাড়ের অন্যান্য সমস্যার মধ্যে একটি হচ্ছে চিকিৎসার সমস্যা। পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ মান্নান মহোদয়ের প্রচেষ্টায় আমাদের সেই সমস্যা দুর হতে যাচ্ছে। কারণ উপজেলাবাসীর চিকিৎসার জন্য ৫০ শয্যা বিশিষ্ট যে হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়েছে সেটি খুব দ্রুত উদ্বোধন হবে। এবং এই হাসপাতালটি চালু হলে চিকিৎসাক্ষেত্রে একটি মাইলফলক তৈরি করবে।