সন্ধ্যা ৭:৩৭,   শনিবার,   ১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,   ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,   ১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

এক নারীর সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয় ‘ধর্ষক’ তারেককে


নিউজ ডেস্ক :
সিলেটে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণী ধর্ষণ মামলার এজাহারভূক্ত সব আসামিকে গ্রেপ্তার হলেও পালিয়ে ছিলো তারেকুল ইসলাম তারেক। তাকে কিছুতেই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছিলো না। এতে সহায়তা করেন এক নারী। তুলনা বেগম নামের ওই নারী সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় জগদল ইউনিয়নের গরমা গ্রামের আলী হোসেনের বাড়ি থেকে তারেককে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৯। অভিযানে নেতৃত্ব দেন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ফয়ছল আহমদ ও এএসপি আবদুল্লাহ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গরমা গ্রামের আলী হোসেন ধর্ষণ মামলার আসামি তারেকের আত্নীয়। নিজের চুল দাঁড়ি কেটে ছদ্মবেশ ধরে এই বাড়িতে আত্মগোপন করে তারেক। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে র‌্যাব সদস্যরা তারেকের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ওই গ্রামে অভিযান চালান। নারী ইউপি সদস্য তুলনা বেগম তাদের আলী হোসেন বাড়ি চিনিয়ে দেন। তারেককে গ্রেপ্তারকালেও তুলনা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
র‍্যাব-৯ এর এর অতিরিক্ত পুলিশ সামিউল আলম গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তারেককে র‌্যাব-৯ এর সিলেট কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
এনিয়ে চাঞ্চল্যকর এই মামলার ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। আর পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে আরও ৪ জনকে। গ্রেপ্তারকতৃদের মধ্যে ৬ জনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, মঙ্গলবার বিকাল ৩ টার দিকে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে উপজেলার জগদল ইউনিয়নের কাওয়াজুড়ি গ্রামের সমছু মিয়ার স্ত্রী ও ছেলে বদরুলকে আটক করে র‍্যাব। এরপর র‍্যাব-৯ সন্ধ্যা ৬টায় গরমা গ্রামের আলি হোসেনের বাড়ি থেকে তারেককে গ্রেফতার করে।
শুক্রবারের এই ধর্ষণের ঘটনায় শনিবার নির্যাতিতা তরুণীর স্বামী শাহপরান থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, এমসি কলেজের প্রধান ফটক থেকে তাদের জিম্মি করে যারা ধরে নিয়ে আসেন তাদের মধ্যে তারেকুল ইসলাম তারেকও ছিলেন। এসময় নির্যাতিত দম্পত্তির প্রাইভেট কারের দখল নেন তারেক। তিনি প্রাইভেট কার চালিয়ে তাদের ছাত্রাবাসে নিয়ে আসেন। এরপর ধর্ষণ ও নির্যাতনেও অংশ নেন তারেক।