কৃষি কর্মকর্তারা ঘরে বসে তালিকা করে কৃষকের : খাদ্যমন্ত্রী
নিউজ সুনামগঞ্জ ডেস্ক :
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে ৫০ ভাগ কাজও করেন না। তাদের দেয়া ত্রুটিপূর্ণ তালিকার কারণে ধান-চাল সংগ্রহ কর্মসূচিসহ অনেক কর্মসূচি বাস্তবায়নে বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়।
তিনি বলেন, মিল মালিকদের সঙ্গে যোগসাজশে খাদ্য পরিদর্শকসহ মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নেন এমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিহার করে দ্রুত সঠিক পথে ফিরে আসুন। অন্যথায় আপনাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আমন ধান সংগ্রহ উপলক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বিদেশে চাল রফতানির পরিকল্পনা করছে সরকার। ধান উৎপাদনে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়া হবে। চাল রফতানির লক্ষ্যে সারাদেশে পাঁচ হাজার টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ২০০ সাইলো নির্মাণ করা হবে। গুটিকয়েক কর্মকর্তার দুর্নীতির কারণে এসব পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হলে কাউকে ছাড়ব না।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে একই বাড়ির পাঁচজনও কৃষি কার্ড পেয়েছেন। ২০১৪ সালে কৃষি কার্ড তৈরির দায়িত্বে ছিলেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। আবার অনেক প্রকৃত কৃষক কার্ড পাননি। ফলে কার্ডের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি কর্মসূচিতে অনিয়ম হয়েছে। একই কার্ড দিয়ে ধান-চাল ক্রয়ে কৃষক তালিকাভুক্ত করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে না গিয়ে ঘরে বসে তালিকা তৈরি করেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিল মালিকরা সরকারি গুদামে চাল দেয়ার সময় কাবিখা কিংবা নিম্নমানের চাল যাতে সরবরাহ করতে না পারেন সে বিষয়ে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে হবে। প্রকৃত কৃষকরা ধান বিক্রি করতে এসে কোনোরকম হয়রানির শিকার হলে খাদ্যগুদাম রক্ষক বা এর সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেব না।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রাণালয়ের সচিব ড. নাজমানারা খানুম। এতে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. ইয়ামিন চৌধুরী। খাদ্য অধিদফতর ও কৃষি অধিদফতরের কর্মকর্তা, প্রান্তিক কৃষক, মিল মালিক ও জনপ্রতিনিধিরা মতবিনিময় সভায় তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। সভা পরিচালনা করেন বরিশাল জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান।