কেন্দ্রীয় যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি : আলোচনায় চপল
নিউজ সুনামগঞ্জ ডেস্ক :
আগামীকাল যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার সকালে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশকে ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর কাউন্সিলের মাধ্যমে সংগঠনের চেয়ারম্যান করা হয়। একই সঙ্গে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান মাইনুল হোসেন খান নিখিল। তবে সম্মেলনের পর প্রায় এক বছর অতিবাহিত হলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়নি।
সূত্র জানায়, পূর্ণাঙ্গ কমিটির একটি তালিকা চূড়ান্ত করে যুবলীগের শীর্ষ দুই নেতা সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা দিতে যান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী পরিস্থিতি বিবেচনায় কমিটির পরিধি বড় করা, বিতর্কিত কাউকে না রাখাসহ বিভিন্ন নির্দেশনা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, ক্যাসিনোসহ অন্যান্য কালিমা মুছে মূল আদর্শে ফিরতে চায় যুবলীগ। আর সে উদ্দেশ্যেই পরিচ্ছন্ন ইমেজের দক্ষ ও অভিজ্ঞ তরুণেরা এবার কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতা হতে যাচ্ছেন। জেলা পর্যায়ের জনপ্রিয় কয়েক জনকেও নিয়ে আসা হচ্ছে কেন্দ্রে। নতুন মুখ হিসেবে দুই জন জনপ্রিয় সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হতে যাচ্ছেন। ২০টি পদ বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির আকার হচ্ছে ১৭১ সদস্যের।
নতুন কমিটিতে সিলেট বিভাগের দুই-তিন জন নেতা স্থান পেতে যাচ্ছেন। যারা কমিটিতে স্থান পাবেন বলে নেতাকর্মীদের মুখে শুনা যাচ্ছে।
সব চেয়ে বেশি আলোচনায় সুনামগঞ্জ জেলা যুব লীগের আহবায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খারুল হুদা চপল। সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালনের পাশপাপাশি গত ৫বছর ধরে জেলা যুবলীগকে সুশৃঙ্খল ভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। জেলার সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবে সৎ ও নিষ্টার সঙ্গে দ্বায়িত্ব পালনেও তাঁর সুনাম আছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় পর্যায়ে গ্রহণযোগ্যতা থাকায় এবারের কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে যাচ্ছেন চপল। তবে পদের নাম জানা না গেলেও গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব পাবেন বলেই যুবলীগের একটি ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সেক্ষত্রে তাকে প্রেসেডিয়াম সদস্য, অথবা গুরুত্বপূর্ণ সম্পাদকীয় পদে দেখা যেতে পারে।
যুবলীগের নেতাকর্মীরা তাকে সামাজকি যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে আগাম শুভেচ্ছা জানাতে দেখা যাচ্ছে।