খুলেছে অফিস আদালত, মানতে হবে স্বাস্থ্য বিধি
স্টাফ রিপোর্টার :
দীর্ঘদিন লক ডাউনের থাকার সীমিত পরিসরে খুলছে অফিস আদালত গণ পরিবহনসহ সকল প্রতিষ্ঠান। কিন্তু করোনার ভয়াবহতা কাটেনি এখনও। দিনের পর দিন বাড়ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর হার। যেন অদৃশ্য একটি ছোট ভাইরাস পুরো পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ করছে। আর এ জন্য সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য ১২ টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হল :
১.অফিস চালু করার পূর্বে অবশ্যই প্রতিটি অফিস কক্ষ/আঙ্গিনা/রাস্তাঘাট জীবানুমুক্ত করতে হবে।
২.প্রত্যেক মন্ত্রণালয়/ বিভাগ/ প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পথে থার্মাল স্ক্যানার/ থার্মোমিটার দিয়ে কর্মকর্তা/ কর্মচারীদেও শরীরে তাপমাত্রা পরীক্ষা করে অফিসে প্রবেশ করাতে হবে।
৩.অফিস পরিবহনসমূহ অব্যশই শতভাগ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যানবাহনে বসার সময় পারস্পারিক ন্যূতম তিন ফুট শারীরিক দূরুত্ব বজায় রাখতে হবে এবং সকলকে মাস্ক(সার্জিক্যাল মাস্ক অথবা তিন পরত স্তর বিশিষ্ট কাপড়ের মাস্ক যা নাক ও মুখ ভালোভাবে ঢেকে রাখবে) ব্যবহার করতে হবে।
৪. সাজিক্যাল মাস্ক শুধু একবার (ওয়ান টাইম) হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। কাপড়ের মাস্ক সাবান দিয়ে পরিস্কার কওে পুণরায় ব্যবহার করা যাবে।
৫.যাত্রার পূর্বে এবং যাত্রাকালিন পথে বার বার হ্যন্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কার করতে হবে। ৬. খাওয়ার সময় শারীরিক দূরুত্ব (নূন্যতম তিন ফুট) বজায় রাখতে হবে।
৭. প্রতিবার টয়লেট ব্যবহারের পরে সাবান দ্বারা জীবানুমুক্তকরণ নিশ্চিত করতে হবে।
৮.অফিসে কাজ করার সময় শারিরীক দূরুত্ব বজায় রাখতে হবে।
৯.কর্মস্থলে সকলকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং ঘন ঘন সাবান পানি বা হ্যন্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কার করতে হবে।
১০. কর্মকর্তা / কর্মচারীদের করোনা (কভিড -১৯) প্রতিরোধে বিভিন্ন সাধারণ নির্দেশনাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি নিয়মিত মনে করিয়ে দিতে হবে। ভিজিলেন্স টিমের মাধ্যমে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
১১. দৃশ্যমান একাধিক স্থানে ছবিসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশানা ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
১২. কোন কর্মচারীকে অসুস্থ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আইসোলেশন/ কোরারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।