রাত ১০:০৩,   বুধবার,   ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ৯ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

গুঁড়া দুধের দাম কেজিতে বাড়লো ৬০ টাকা

নিউজ সুনামগঞ্জ ডেস্ক :
হঠাৎ বেড়ে গেছে আমদানি করা গুঁড়া দুধের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে কেজিতে ৬০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গুঁড়া দুধ আমদানির ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। ক্রেতা পর্যন্ত পৌঁছাতে আগের চেয়ে খরচ বেড়েছে। এ কারণে পণ্যটির দামও বেড়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে গুঁড়া দুধ আমদানি করা যাচ্ছে না।
রাজধানীর শুক্রাবাদ বাজারের মফিজ উল্লাহ বলেন, গত ৩/৪ দিন ধরে সব ধরনের গুঁড়া দুধের দাম বেড়ে গেছে। তিনি উল্লেখ করেন, ডিপ্লোমা (নিউজিল্যান্ড) ও ডানো, দুই ধরনের দুধের দাম কেজিতে ৪০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আগের সপ্তাহে নিউজিল্যান্ডের ডিপ্লোমার কেজি ছিল ৫৯০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৩০ টাকায়। একইভাবে ৫৮০ টাকা কেজির ডানো বিক্রি হচ্ছে ৬৪০ টাকায়। তিনি জানান, কোয়ালিটি, ফ্রেস মার্কসসহ অন্যান্য গুঁড়া দুধের দামও কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে।
কাওরান বাজারে বাজার করতে আসা রনি তরফদার বলেন, গুঁড়া দুধ এখন পরিবারের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। ডানো দুধের কেজিতে ৬০ টাকা বেশি লাগছে। দুই তিন মাস আগেও এককেজি ডানো গুঁড়া দুধ ৫৭০ টাকায় পেয়েছিলাম। এখন নিচ্ছে ৬৩০ টাকা দিয়ে।
কাওরান বাজারের ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, কোম্পানিগুলো জানিয়েছে হঠাৎ করে গুঁড়া দুধে কর বাড়ানো হয়েছে। যে কারণে খুচরা ব্যবসায়ীদের বেশি দামে কিনে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে গুঁড়া দুধের দাম যে বেড়েছে, তার প্রমাণ মেলে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যেই। টিসিবি বলছে, এক সপ্তাহ আগে ডানো গুঁড়া দুধের কেজি ছিল ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা। শুক্রবার (৬ মার্চ) বিক্রি বিক্রি হচ্ছে ৬২০ থেকে ৬৪০ টাকা। একইভাবে গত সপ্তাহে ডিপ্লোমার কেজি ছিল ৫৯০ থেকে ৬১০ টাকা। শুক্রবার সেই ডিপ্লোমার বিক্রি হচ্ছে ৬২০ থেকে ৬৩০ টাকা কেজি।
টিসিবি’র হিসেবে গত ১ বছরে মার্কস গুঁড়া দুধের দাম বেড়েছে ১৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। এছাড়া ফ্রেশ গুঁড়া দুধের দাম বেড়েছে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ। প্রসঙ্গত, এর আগে ৬ মাস আগে বাড়তি কর আরোপের অজুহাতে আমদানি করা গুঁড়া দুধের দাম বাড়ানো হয়েছিল।