বিকাল ৫:০৯,   মঙ্গলবার,   ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

জগন্নাথপুরে বন্যার পানি কমলেও বেড়েছে দুর্ভোগ

রেজুওয়ান কোরেশী :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকায় পানি কমতে শুরু করলেও দূর্ভোগ বাড়ছে।
অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার কলকলিয়া,চিলাউড়া হলদিপুর, রানীগঞ্জ, সৈয়দপুর শাহারপাড়া, আশারকান্দি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার একাংশের কমপক্ষে ৬০ টি গ্রামের লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। যার মধ্যে বন্যা কবলিত হয়ে পড়া শতাধিক পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যায় তলিয়ে গেছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট।
সরেজমিনে বন্যাকবলিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেক পরিবার পানির সাথে যুদ্ধ করে চৌকিতে বসবাস করছেন। কেউবা আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন আবার অনেকেই আত্বীয় স্বজনদের উঁচু বাড়িতে গিয়ে উঠেছেন।
চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের গোপড়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে কথা হয় গোপড়াপুর গ্রামের বাসিন্দা সুনতি বালা সরকারের সঙ্গে।
তিনি বলেন, বন্যার পানিতে ভেসে গেছে আমার ৩০টি হাঁস। ঘরের অনেক নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তলিয়ে গেছে। সব কিছু হারিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে ওঠেছি।
দাসনাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মোহিনী দাস জানান, ঘরের ভেতর পানি জিনিসপত্র নিয়ে যাবার জায়গা নেই। বাধ্য হয়ে কষ্ট করে চৌকিতে বসবাস করছি।
কলকলিয়া ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাসিম বলেন , আমার ইউনিয়নের ৯০ ভাগ মানুষ পানিবন্দি। বন্যার পানিতে গ্রামীণ রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দূর্ভোগ বাড়ছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৫০ টি গ্রামের মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে দূর্যোগে পড়েছেন। সরেজমিনে মানুষের কষ্ট দেখে সাধ্যমতো ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেছি।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম মাসুম বলেন, জগন্নাথপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। আমরা সরকারিভাবে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা চালিয়ে যাচ্ছি।