রাত ৯:৩২,   বুধবার,   ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ৯ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

জামায়াতের কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নেই- ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি শিশির মনির

স্টাফ রিপোর্টার:

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের আইনজীবী ও ইসলামি ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ শিশির মনির বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী ক্লিন ইমেজের দল। মানুষের মতামত নিয়ে ভবিষ্যতে প্রতিযোগীতা মূলক রাজনীতি করতে চায় জামায়াত। মানুষ যাকে পছন্দ করবে তারাই ক্ষমতায় আসবে। যাদেরকে মানুষ পছন্দ করবে না তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না এটাই স্বাভাবিক।

রবিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের শহীদ জগৎ জ্যোতি পাঠাগার মিলনায়তনে সুনামগঞ্জে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ সব কথা বলেন।

মোহাম্মদ শিশির মনির আরও বলেন, আমি দিরাই শাল্লার প্রায় ৩৬ টা পূজা মন্ডব ঘুরে দেখেছি। সবাই শান্তি যে যার মত করে তাদের উৎসব পালন করছেন।
আমি বিগত কয়েক দিন ধরে সুনামগঞ্জের প্রতন্ত অঞ্চলে ঘুরেছি।

আমার দল চাইলে আমি নির্বাচন করবও না হলে করবও না।
মোহাম্মদ শিশির মনির প্রয়াত সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর রুনি হত্যা মামলার প্রসঙ্গে বলেন, সাগর রুনি হত্যা মামলায় একাধিক সেনসিটিভ ব্যক্তি জড়িত রয়েছেন।

সাগর রুনির মামলার নথি আমার কাছে এসেছে। আমি মামলার নথিটি পুরো পুরি ভাবে পড়েছি। মামলার নথিটি প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করে দেখা যায়- এটি একটি সেনসিটিভ কেইস। সেনসিটিভ মানুষ এটার সাথে জড়িত। সেনসিটিভ মানুষের নাম আসামি হিসেবে বিভিন্ন সময়ে এসেছে। এটি গোপনীয়, এখনো এটি চার্জশিট হয়নি, পাবলিক ডকুমেন্টস হয়নি। একজন দুইজন মানুষ আছেন যাঁরা স্টেটমেন্ট দিয়েছেন। গোপনে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। একজন আছেন রাজ সাক্ষী হতে চাচ্ছেন। গোপনীয়তা থাকায় সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছেনা।

শিশির মনির আরও বলেন, সরকার টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করেছে, এখানে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি রয়েছেন, তাদের আনুসন্ধানের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আগামীকাল তাদেরর সাথে আমার একটি মিটিং রয়েছে। এক্ষেত্রে একটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মামলার ১২ বছর চলেগেছে যার অনেক তথ্য নষ্ট হয়েগেছে। কিছু ক্লু পাওয়া যাচ্ছে যাঁর মূলকপি পাওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন সময়ে এটি নষ্ট হয়েগেছে।

যাইহোক এগুলি এখনো বলা যাবে না তবে ভালো কিছু হবে এটা প্রত্যাশা।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে শিশির মনির বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের বিষয়ে সরকার আমাদের মতামত চেয়েছিল, আমার বলেছি এটি সম্পূর্ণরূপে বাদ দেয়ার জন্যে। কোনো সভ্য সমাজে এমন আইন থাকতে পারে না। মানুষের যদি কথা বলার স্বাধীনতা থাকে না তাহলে মুক্ত সাংবাদিক, গণতন্ত্র ও মানুষের বাকস্বাধীনতা থাকবে না। এই আইন সম্পূর্ণরূপে বাদ হওয়া প্রয়োজন বলে মানে করেন তিনি।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমীর তোফায়েল আহমেদ।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন।

মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।