তাহিরপুরে করোনাভাইরাসের নির্দেশনা মানছেন না সাধারণ মানুষ
আবির হাসান-মানিক:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এড়াতে ঘরে থাকার নির্দেশনা থাকলেও উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের হাটবাজার গুলোতে ঠেকানো যাচ্ছেনা জনস্রোত!
যতক্ষণ পর্যন্ত প্রশাসনের টহল বিদ্যমান ঠিক ততক্ষণ পর্যন্ত-ই লোকজন আড়ালে গা ঢাকা দিচ্ছে। প্রশাসনের নজরদারি চলে যাবার পর-পরই বাজার গুলো লোকে লোকারন্য! উৎসুক জনতার এমন দৃশ্য হরহামেশাই। অপরদিকে বাজারে সেনাবাহিনী আসার সংবাদ শুনে গ্রামের কিছু কৌতূহলী মানুষ তাদের দেখতে বাজারে লুকোচুরি করে ভিড় করে। প্রতিটি রাস্তা ঘাটেও বাড়ছে মানুষের চলাচল। অটোরিকশা, মোটরসাইকেলের দৌরাত্মও চোখে পড়ার মতো।
এদিকে উপজেলার হাটবাজার গুলো ও রাস্তাঘাটে জনসমাগম ঠেকাতে এবং করোনার ভাইরাস প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে জনসমাগম না করে জনগণকে নিজ নিজ ঘরে থাকার অভিরাম প্রচারনা চালাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় সময় সময় টহলও দেয়া হচ্ছে নিয়মিত। কিন্তু এক শ্রেনীর অসেচতন মানুষ করোনা ভাইরাস সংক্রামনকে উপেক্ষা হাটবাজার গুলোতে ভিড় জমাচ্ছে প্রশাসনের নজরদারি চলে যাবার পর। একই সাথে অপপ্রচারেও অনেকেই লিপ্ত হচ্ছে।
সোমবার সকাল থেকে উপজেলার তাহিরপুর সদর, বাদাঘাট, বালিয়াঘাট,বড়ছড়া, চারাড়াও, কলাগাও, বাগলী, শ্রীপুর, কাউকান্দি একতা, জনতা, আনন্দ বাজর সহ বিভিন্ন বাজারে প্রশাসনের নিষেধ অমান্য করে জনস্রোত লক্ষ্য করা গেছে।
এসব কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এলাকার সচেতন মানুষ। তারা বলছেন, সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উৎসুক জনতা নিজেরাই নিজেদের সর্বনাশ ঢেকে আনছে মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মাধ্যমে। যা পুরো এলাকার জন্য হয়ে উঠবে প্রাণঘাতী।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জি জানান, করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে বারবার উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে জরুরি কাজ সম্পন্নের কথা বলা হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার গুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আইন অমান্যকারীদের জরিমানাও করা হচ্ছে। বর্তমান এ সংকটকালীন সময়ে উপজেলাবাসী যদি বিষয়টি বুঝতে চেষ্টা না করেন, তাহলে প্রশাসন কঠোর হতে বাধ্য হবে।