দরিয়াবাজে মারধরে যুবকের মৃত্যু, আটক ৩
বিশেষ প্রতিনিধি :
সুনাগঞ্জ সদর উপজেলার বড়দই বিল এলাকায় মারধরে আলীম তালুকদার(২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
নিহত আলিম তালুকদার সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের দরিয়াবাজ গ্রামের হানিফ তালুকদারের ছেলে।
পরিবারের লোকজন জানান, বড়দই বিলের পার্শবর্তী ডোবা(ছোট খাল) নিয়ে একটি পক্ষের সঙ্গে দরিয়াবাজ গ্রামের হানিফ তালুকদারের ছেলে আলীম তালুকদার ও তার পরিবারের বিরোধ ছিল। এসব ঘটনায় মামলা মোকদ্দমাও চলছে।
গত ৫ মার্চ রাতে আলিম তালুকদারের মালিকানাধীন হিঙ্গিরদাইর ডোবায় অন্যরা জোরপূর্বক মাছ ধরতে গেলে তিনি বাঁধা দেন। পরে ওখান থেকেই তাকে ধরে এনে বেদম মারধর করা হয়। পরে তার অবস্থা সংকটাপন্ন হলে রাস্তায় অজ্ঞান অবস্থায় তাকে ফেলে রেখে যায় মারধরকারীরা। পরে স্বজনরা বাড়িতে নিয়ে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। শুক্রবার সকালে তার অবস্থা আরো খারাপ হলে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলীম তালুকদারের মৃত্যু হয়।
এদিকে তার মৃত্যুর পর শনিবার বিকেলে বিক্ষুব্দ গ্রামবাসী ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
পুলিশ এ ঘটনায় শনিবার সকালে জহুর আলী, যশু মিয়া এবং মমিনুল ইসলামকে আটক করেছে।
আলিম তালুকদারের ভাবী ফুলবানু বলেন, আমার দেবরকে তার জমি থেকে ধরে নিয়ে মারধর করা হয়। তিনি বলেন, আমার দেবর মাত্র এক বছর আগে বিয়ে করেছে। তার স্ত্রী ৮ মাসের অন্তস্বত্তা। সন্তানের মুখ দেখে যেতে পারেনি আলীম। আমরা এ ঘটনান দৃষ্টান্তমূলক শাস্থি চাই।
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, জলমহাল নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধের জের ধরে গত বৃহষ্পতিবার আলীম তালুকদারকে মারধর করা হয়। শনিবার ওসামনীতে তিনি মারা গেছেন। এ ঘটনায় আমরা তিনজনকে আটক করেছি।