রাত ৩:১১,   রবিবার,   ১১ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,   ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,   ১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

দ. সুনামগঞ্জে গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে বন্যার্তরা

দ. সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার প্রায় সব এলাকায় পানি কমতে থাকায় ঘরবাড়িতে ফেরার প্রস্তুতি শুরু করেছেন বানভাসিরা। তবে ১৫ দিনের ব্যবধানে দুই দফা বন্যায় গো-খাদ্যের চরম সংকটের কারণে নিজেদের পাশাপাশি গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বন্যার্তরা। সামনে কোরবানির ঈদ থাকায় পশুখাদ্যের সংকটে অনেকে তাদের পশু বিক্রি করতে হাটে তুলছেন। তবে ঈদের প্রায় দুই সপ্তাহ বাকি থাকায় বাজারে ক্রেতার সংখ্যা এখনো বাড়েনি।
এদিকে বন্যায় বসতভিটার ক্ষতি হওয়ায় দিশেহারা বন্যাকবলিতরা। বন্যার কারণে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের কোরবানির পশুর হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের মাঝে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে কেনাবেচা নেই বললেই চলে। বন্যাদুর্গত এলাকার গৃহস্থ ও ক্ষুদ্র গরু ব্যবসায়ীরা চাচ্ছেন দ্রুত গরু বিক্রি করতে। অন্যদিকে ক্রেতারা চাচ্ছেন আগে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক তারপর গরু কেনা যাবে। এ অবস্থায় হাটগুলোতে গরুর সংখ্যা বাড়লেও ক্রেতা তেমন একটা নেই। তাই বেচাকেনাও হচ্ছে খুব সামান্য।
উপজেলার দর্গাপাশা ইউনিয়নের আমির ইসলাম বলেন, বন্যার কারণে গরুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। আশা ছিল এবার ঈদে ভালো দাম পাবো। কিন্তু বন্যার কারণে আশানুরুপ দাম পাচ্ছি না। আবার গরুর বাসস্থান ও খাদ্য মজুদ করতে ও হিমশিম খাচ্ছি।
পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের গরু ব্যবসায়ী আঃ রজাক বলেন, এইবছর বন্যার কারণে গরু বেচাকেনায় সুবিধা করা যাচ্ছে না। একে তো ক্রেতার সংখ্যা কম তার ওপর আবার গরু কিনে রাখার মত আবাসস্থল নেই। তার ওপর গো খাদ্যের সংকট। সব মিলিয়ে এ বছর ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই চরম বিপাকে রয়েছেন।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুকুমার চন্দ্র দাস জানান, এ বছর বন্যায় প্রায় ১৫ হাজার মেট্রিক টন গো-খাদ্য নষ্ট হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাদের তালিকা প্রস্তত করে জেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগে পাঠানো হবে এবং সরকারের নিকট ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তার জন্য সুপারিশ করা হবে।