রাত ১১:১০,   বুধবার,   ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ৯ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

দ. সুনামগঞ্জে ধর্ষন মামলায় মা সহ ধর্ষক গ্রেফতার

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
দক্ষিণ সুনামগঞ্জর শ্রীনাথপুর গ্রামে ১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলার দায়ের ও আসামীদের করা হয়েছে।
বুধবার (২২ জুলাই) ভোর রাতে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই জহিরুল ইসলাম তালুকারের নেতৃত্বে শ্রীনাথপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক ফিরোজ মিয়া ও ধর্ষকের মা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী উসাইমা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ফিরোজ মিয়া শ্রীনাথপুর গ্রামের মৃত আকিল মিয়ার ছেলে ও উসাইমা বেগম মৃত আকিল মিয়ার স্ত্রী।
গত মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রাতে শ্রীনাথপুর গ্রামের জনৈক মনির মিয়ার গোয়াল ঘরে এই ঘটনাটি ঘটে।
বুধবার(২২ জুলাই) ভোর রাতে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই জহিরুল ইসলাম তালুকারের নেতৃত্বে শ্রীনাথপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক ফিরোজ মিয়া ও উসাইমা বেগম নামে এজাহার নামীয় আসামীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। আটক ফিরোজ মিয়া শ্রীনাথপুর গ্রামের মৃত আকিল মিয়ার ছেলে ও উসাইমা বেগম মৃত আকিল মিয়ার স্ত্রী।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম কিশোরীর মা একজন সৌদি আরব প্রবাসী হওয়ায় কিশোরী (১৩) ও তার ছোট বোন (১২) কে নিয়ে নিজ বসত ঘরে বসবাস করে আসছিল। প্রতিবেশী মৃত আকিল মিয়ার ছেলে দুই সন্তানের জনক ফিরোজ মিয়া গত মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রাতে কিশোরীকে তার বসত ঘর থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে পার্শ্ববর্তী শ্রীনাথপুর গ্রামের জনৈক মনিরের গোয়ালঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে।
ভিকটিম কিশোরীর মামা নুর আলী জানান, ধর্ষণের ঘটনার পর স্থানীয় কিছু লোকজন টাক দিয়ে ঘটনা মিটমাট করতে চেয়েছিল এবং মামলা মোকদ্দমা না করার জন্য বলেছিল। আমি ও আমার ভাগনি ভিকটিম কিশোরী আপোষে রাজি হয়নি।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই জহিরুল ইসলাম তালুকদার ও তদন্তকারী অফিসার জানান, এই ঘটনায় ধর্ষন মামলার প্রধান আসামী ফিরোজ মিয়া ও তার মা উসাইমা বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কিশোরী ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশরে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।