রাত ১:২৮,   সোমবার,   ১২ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,   ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,   ১৩ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

ধর্মপাশায় জলমহালে বিষ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১

ধর্মপাশা প্রতিনিধি :
ধর্মপাশা উপজেলায় জলমহালে বিষ দেওয়ার অভিযোগে তৈমুর মিয়া নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার দিগজান গ্রামের কামাল মিয়ার ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) দুপুরে তাকে দিগজান নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মফিজুর রহমান চৌধুরী দিগজান গ্রাম জামে মসজিদের মালিকানাধীন কুড়ি জলমহালটি ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় এককালীন মূল্যে পরিশোধ করে মসজিদ কমিটির কাছ থেকে ছয় বছরের জন্য ইজারা নেন। তখন থেকে ইজারাদার কুড়ি জলমহালে বাঁশ, কাটা দিয়ে মাছ চাষ ও আহরণ করে আসছেন। এই জলমহাল সংলগ্ন আরো একটি ছোট কুড় (ডোবা) আছে। কুড়ি জলমহাল থেকে ছোট কুড়ে (ডোবা) কিছু মাছ চলে যায়। ওই কুড় থেকে দিগজান গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে তৈমুর মিয়া ও তার লোকজন গত কয়েকদিন আগে মাছ ধরে নিয়ে যায়। এতে ইজারাদারের লোকজন বাধা দিলেও কোনো কাজ হয়নি। ফলে ইজারাদার গত ১ মার্চ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
ইজারাদারের অভিযোগ এতে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে গত সোমবার গভীর রাতে কুড়ি জলমহালে মাছ নিধনের জন্য তৈমুর মিয়া ও তার লোকজন বিষ প্রয়োগ করে। এতে জলমহালে থাকা কয়েক লক্ষাধিক টাকার দেশীয় মাছ মরে ভেসে উঠে। ইজারাদার মফিজুর রহমান চৌধুরী এ নিয়ে গত বুধবার রাতে তৈমুর মিয়াসহ একই গ্রামের মৃত আসকর আলীর ছেলে সুলতান মিয়া, আব্দুল আজিজের ছেলে আতিক মিয়া সিরাজ উদৌল্লাহর ছেলে আবুল আজাদসহ চারজনের নামে ধর্মপাশা থানায় একটি মামলা করেন।
ইজারাদার মফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘বিষ প্রয়োগের ফলে আমার জলমহালে ১০ লক্ষাধিক টাকার মাছের ক্ষতি হয়েছে। আমি তাদের বিচার চাই।’
ধর্মপাশা থানার এসআই আব্দুল আজিজ বলেন, ‘জলাশয়ে বিষ প্রয়োগের অভিযোগে তৈমুর মিয়া নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’