নদীতে ‘ভাসমান ফেরি’ চালু করলো পাইলগাঁও ছাত্র কল্যাণ পরিষদ
জগন্নাথপুর প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়ন ছাত্র কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে স্থানীয় রত্না নদীতে ভাসমান ফেরি’র উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১৭ আগষ্ট) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরিটি চালু করা হয়। ফলে ইউনিয়নের ছয় গ্রামবাসীর দুর্ভোগ কমেছে। উদ্বোধনকালে এলাকার সমাজসেবক ইসলাম উদ্দিন, মানিক মিয়া, মোঃ কায়িদ মিয়া, মোঃ শাহজাহান মিয়া, কয়ছর রশীদ, মোঃ আলিম উদ্দিন, কবির হোসেন,সংগঠনের আব্দুল কাদির, মশিউর মধু, হেলিম উদ্দিন, আনহার মিয়া, মারুফ জামান,কাদির মিয়া, আক্তার হোসেনসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, পাইলগাঁও ইউনিয়নের রত্না নদীতে পারাপারে সুবিদা না থাকায় অনেকবছর ধরেই দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন ইউনিয়নের ঐয়ারদাস, সাতাল মুকন্দপুর,তেরাউতিয়া, মাখরকোনা, ও দয়ালনগর গ্রামের জনসাধারণ। এই ছয় গ্রামের লোকজন ওই নদী দিয়ে প্রতিনিয়ত উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি ইউনিয়নের সঙ্গে যাতায়াত করে আসছেন। নদীতে পারাপারের কোন ব্যবস্থা না থাকায় এলাকার শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা সমস্যার দুর্ভোগ ছিলেন। এমতাবস্থায় স্থানীয় সংগঠন পাইলগাঁও ইউনিয়ন ছাত্র কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে এবং এলাকার যুক্তরাজ্য প্রবাসী কুতুব উদ্দিন জুয়েল, ইউসুফ মিয়া, কাদির মিয়া ও সাজ্জাদ হোসেনের অর্থায়নে ঐয়ারদাস এলাকায় রত্না নদীতে পারাপারের সুবিধার্থে ভাসমান ফেনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। প্রায় ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ফেরিটি তৈরী করা হয়। গতকাল থেকে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। ফলে এলাকাবাসীর অনেকদিনের ভোগান্তি অনেকটা কমেছে বলে স্থানীয়রা জানান।
স্থানীয় যুব নেতা কয়ছর রশিদ জানান, সামাজিক সংগঠন পাইলগাঁও ইউনিয়ন ছাত্র কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে ভাসমান ফেরি চালু হয়েছে। এটি এলাকার জন্য খুবই আনন্দের খবর। কারণ দীর্ঘদিনের পারাপারের ভোগান্তি লাঘব হবে।
পাইলগাঁও ছাত্র কল্যাণ পরিষদের আব্দুল কাদির ও মশিউর মধু জানান, নদীতে পারাপারের কোন ব্যবস্থা না থাকায় আমরা ফেরি চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করি। এতে আমাদেরকে সহযোগিতা করেছেন আমাদের প্রবাসী এবং স্থানীয়রা। ফেরিটি রশি দিয়ে টেনে পারাপারের করার সুবিদা রয়েছে। এলাকাবাসীর সুবিধার্থে আমাদের এই প্রচেষ্ঠা। তারা জানান, আমাদের সংগঠনটি তরুণ ও যুবকদের সমন্বয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। আমরা আর্ত সামাজিক উন্নয়নে কাজ করার চেষ্ঠা করছি।
পাইলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুখলিছ মিয়া জানান, সত্যিই উদ্যোগটি প্রসংসনীয়। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।