রাত ৯:৪২,   বুধবার,   ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ৯ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্ব মানবাধিকার দিবসের আলোচনায় বক্তরা: মানবাধিকার রক্ষার আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার:

ঘুরে দাঁড়াবো আবার, সবার জন্য মানবাধিকার- এই প্রতিপাদ্য ধারণ করে সুনামগঞ্জে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে হাওর এরিয়া আপলিফটমেন্ট সোসাইটি-হাউস ও এএলআরডি যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

হাওর এরিয়া আপলিফটমেন্ট সোসাইটি-হাউস এর নির্বাহী পরিচালক সালেহিন চৌধুরী শুভর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, শহীদ জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, সাবেক সংসদ সদস্য ও পিপি আ্যাডভোকেট শামছুন নাহার বেগম শাহানা রব্বানী, সুজন সুনামগঞ্জ জেলা শাখার উপদেষ্টা অধ্যক্ষ সৈয়দ মহিবুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, সাধারণ সম্পাদক এমরানুল হক চৌধুরী, সাবেক প্যানেল মেয়র মনির উদ্দিন মনির, প্রভাষক ফারুক আহমদ, অনির্বাণ মহিলা সমিতির সভানেত্রী জয়িতা শিল্পী বেগম, সৃষ্টি যুব জাগরণের সভানেত্রী তৃষ্ণা আক্তার রুশনা প্রমুখ। সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে কুদরত পাশা।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, একটি মানুষের জন্ম থেকেই মৌলিক অধিকার তৈরি হয়। আমাদের ৫টি মৌলিক অধিকার রয়েছে কিন্তু বাস্তবে মৌলিক অধিকারগুলো থেকেও অধিকাংশ মানুষ বঞ্চিত। সরকারি হাসপাতালে এখন মধ্যবিত্ত ও গরিব মানুষরা যায়, কিন্তু চিকিৎসক ব্যস্ত বেসরকারি হাসপাতালে। এতে করে অনেক মানুষ চিকিৎসার মৌলিক অধিকার পায় না। এছাড়া সমাজে হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া ধর্ষণ প্রতিরোধে ও আইনের সঠিক প্রয়োগ করতে সরকারকে আরও কঠোর অবস্থান নিতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, সকল মানুষের মৌলিক ও সামাজিক অধিকারগুলো রক্ষায় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। নারী-পুরুষ সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করে যেতে হবে। এছাড়া বর্তমান সরকার মানুষের সামাজিক জীবনমান উন্নয়নে যেসব ভাতা দিচ্ছে, সেগুলো যেন উপযুক্ত ব্যক্তিরা সঠিকভাবে পায় সেদিকেও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।

প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় প্রতিবছর ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন করা হবে। বাংলাদেশসহ জতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহে যথাযথ মর্যাদায় এ দিবস পালন করা হয়।