ভবঘুরে, মানসিক ভারসাম্যহীনদের প্রতিদিন খাবার দিচ্ছেন যুবলীগ নেতা স্মরণ
স্টাফ রিপোর্টার :
সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান যুবলীগ নেতা ফজলে রাব্বী স্মরণ মানসিক ভারসাম্যহীন, ভবঘুরে মানুষের জন্য মানবিক উদ্যেগ নিয়েছেন। প্রতিরাতে বাসায় রান্না করে সমাজের সবচেয়ে অবহেলিত মানুষদের নিজ হাতে খাবার তোলে দিচ্ছেন তিনি।
স্মরণ জানিয়েছেন, রমজানের আগ থেকে তিনি এ কার্যক্রম শুরু করেছেন। লকডাউন যতদিন থাকবে, অসহায় মানুষদের খাবার দেবেন তিনি।
বুধবার রাতে ফজলে রাব্বী স্মরণের উদ্যেগে শহরের বিভিন্ন স্থানে ভারসাম্যহীন, ভবঘুরে মানুষের জন্য তৈরি খাবার বিতরণে অংশ সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন।
এসময় সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ও যমুনা টেলিভিশনের সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি মাহমুদুর রহমান তারেক, জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান লিমন, আলমগীর, ছাত্রলীগ নেতা ছাত্রলীগ নেতা নূরে আলম সোহাগ, হৃদয় উপস্থিত ছিলেন।
পৌর মেয়র নাদের বখত বলেন, আমি এতদিন ফেসবুক দেখেছিলাম স্মরণের উদ্যেগ, আমি নিজেই আজ( গতকাল বুধবার) তার সঙ্গে সমাজের সব চেয়ে অবহেলিত মানুষদের খাবার বিতরণে অংশ নিয়েছি। অসম্ভব একটি ভালো উদ্যেগ। আমার পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতা পাবে যারা এরকম উদ্যেগ নিয়েছে।
সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন, ছিন্নমূল মানুষের কথা ভাবে এমন মানুষও সমাজে আছে, তাঁর উদাহরণ হল ফজলে রাব্বী স্মরণ। সড়কে ঘুরে ঘুরে এসব মানুষকে খোঁজে বের করা অনেক কষ্টকর হলেও সে কাজটি করে যাচ্ছে, যা প্রসংশনীয়। আমিও আমার তিন উপজেলার নেতাকর্মীদের এরকম উদ্যেগ নেয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে এসব মানুষ রাতে থাকতে পারে এমন একটি উদ্যেগ নেয়ার জন্য চেষ্ঠা করবো। যাদের সাধ্য আছে তাদের আশেপাশের অসহায় মানুষদের সাহায্য করা প্রয়োজন।
এব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফজলে রাব্বী স্মরণ বলেন, ভবঘুরে, মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষদের হিসেব জেলা প্রশাসনের লিস্টেও থাকে না, জনপ্রতিনিধির লিস্টেও থাকে না। তাদের কথা চিন্তা করেই এমন উদ্যেগ নিয়েছি। প্রতিদিন রাতে এসব মানুষ খাবারের জন্য অপেক্ষায় থাকে। আমি খুঁজে খুঁজে বের করে তাদের খাবার দেই। যতদিন লকডাউন থাকবে ততদিন এসব মানুষদের আমার পক্ষ থেকে খাবার দেয়া হবে। রাজনীতি বাইরেও অনেক সামাজিক দ্বায়িত্ব থাকে, তা আমি পালনে সবসময় চেষ্ঠা করি।