যক্ষা রোগের চিকিৎসা আগের ছেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে
স্টাফ রিপোর্টার :
বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব) সুনামগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে শহীদ জগৎ জ্যোতি পাঠাগারে জেলা নাটাবের সভাপতি ধূর্জটি কুমার বসু’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নির্মল ভট্টাচার্য্য’র পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আশরাফুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের মেডিকেল অফিসার ডা. অতনু ভট্টাচার্য্য, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, সাধারণ সম্পাদক এমরান হোসেন, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিন্দু তালুকদার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে সুনামগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের মেডিকেল অফিসার ডা. অতনু ভট্টাচার্য্য বলেন, কারো যদি দুই সপ্তাহের বেশি কাশি হয়ে তাকে তাহলে সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই একবার যক্ষা পরিক্ষা করে নেওয়া উত্তম। কারণ কাশি হলে সাধারণত আমরা এটাকে বেশি গুরুত্ব দেই না কিন্তু এটা দীর্ঘক্ষণ থাকলে ক্ষতি। আর সরকার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে যক্ষার চিকিৎসা করানো হয় এবং তার ওষুধও বিনামূল্যে দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু যক্ষার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর হলো এমডিআর বা টিবি যাকে বলা হয়। কারণ এটি ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষা। ড্রাগ রেজিস্টেন্স হওয়া কোন রোগী যদি তার চিকিৎসা না করায় তাহলে সে আশেপাশের মানুষের জন্য ক্ষতি হয়ে দাড়ায়। কারণ তার হাছি-কাশি থেকে যে জীবাণু বের হবে সেটিই অন্য এক ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করবে এবং সেও একই রোগে আক্রান্ত হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা সাধারণত দেখি যারা ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষা হয়েছে সে আত্মগোপনে চলে যায়। তার কোন খোঁজ-খবর পাওয়া যায় না সেটি কিন্তু সমাজের জন্য ক্ষতিকর হয়ে যায়, কারণ একজন ড্রাগ রেজিস্টেন্স যক্ষা রোগী বছরে ১০-১৫ রোগীর মধ্যে এই রোগ ছড়াতে পারে শুধুমাত্র তার হাছি ও কাশির মাধ্যমে। তাই আমাদের সবার এই রোগের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। এটি চিকিৎসা ফ্রিতে করা হয় তাই এরকম হলে অবহেলা করবেন না। যক্ষা রোগের চিকিৎসা আগের তুলনায় এখন অনেক উন্নত হয়েছে।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আশরাফুল ইসলাম বলেন, যক্ষা হলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। নিয়মিত ওষুধ সেবন ও যত্ম নিলে একজন যক্ষা রোগী শতভাগ সুস্থ হয়। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষেরা দুইদিন ওষুধ খেয়ে তৃতীয়দিন আর ওষুধ খায় না খেলেও চারটা ট্যাবলেটের জায়গায় দুইটা খায় এটা করলে কিন্তু যক্ষা ভালো হবে না। যক্ষারোগীকে একটি নিয়মের মধ্যে থাকতে হয়। তাই প্রতিটি যক্ষা রোগীর দ্রুত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সম্পন্ন করা প্রয়োজন।