যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য্য ভাঙার দুঃসাহস দেখিয়েছে তাদের কঠোর সাজা হবে : পরিকল্পনামন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার:
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নে সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছেন। পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্প তিনি করে দেখিয়েছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর এ দেশে কোন সাহাসী ব্যাক্তি থাকতে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যিনি -সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেন এবং তাদের নিয়ে ভাবেন। আমাদের তিনি সবসময় বলেন মানুষের উন্নয়ন হয় এমন প্রকল্প নিয়ে আসেন আমি পাশ করে দিবো।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে শহরের আব্দুজ জহুর সেতুর পাশের মাঠে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বিবিদ্যালয় অনুমোদন হওয়ায় পরিকল্পমন্ত্রীকে সংবর্ধনা ও সুনামগঞ্জের উন্নয়ন ভাবনা শীর্ষক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের কাছে রোল মডেল। উন্নয়ন হচ্ছে এবং আগামীতে আরও উন্নয়ন হবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য্য ভাঙনের প্রতিবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যার সংগ্রাম ও প্রচেষ্ঠায় আজকের এই সোনার বাংলাদেশ আমাদের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য্য ভাঙা হয়েছে যা বাংলার ইতিহাসে খুবই খারাপ একটি দিন। মতের অমিল থাকতে পারে তাই বলে গায়ের জোরে ভাস্কর্য্য ভেঙে ফেলবেন তা মেনে নিবো না।
ভাস্কর্য্য ভাঙায় যারা জড়িত এবং তাদের প্রশ্রয় ও অর্থের যোগান দাতাদের খোঁজে এনে আইনের মুখোমুখি করা হবে। আপনারাও সর্তক হোন নিজের ঘরে শুকটির তরকারি আর তাদের মুরগি দেন তাহলে তারা সাহস করবে না তো কে করবে। আমাদের সকলের উচিত এতে প্রতিহত করা। যারাই বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য্য ভাঙার দুঃসাহস দেখিয়েছেন তাদের আইনের মাধ্যমে সাজা হবে।
এম এ মান্নান বলেন, আমার বিরদ্ধে অপবাদ তোলা হয়েছে আমি নাকি সব কিছু আমার গ্রামের বাড়ি দক্ষিণ সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে নিয়ে যাচ্ছি। তা ঠিক নয় আপনাদের কাছে আমার বিচার আপনারা দেখান সুনামগঞ্জের জন্য অনুমোদন হয়েছে এমন একটি প্রকল্প কেটে দক্ষিণসুনামগঞ্জ নিয়ে গেছি। যদি দেখাতে পারেন তওবা করে রাজনীতি ছেড়ে চলে যাবও। প্রকল্পের জন্য বড় জায়গা দরকার তাই শহরের পাশে সিলেট -সুনামগঞ্জ সড়কের পাশে অনেক জায়গা খালি রয়েছে সেই স্হান গুলোতে প্রকল্প গুলো বাস্তবায়ন করা সহজ। স্হাপনা বা ধানি জমি নষ্ট করতে হবে না। এটা আমার জন্য পাপ হয়েছে। আমি উন্নয়ন করতে চাই। প্রধান মন্ত্রীর কাছ থেকে সেটাই শিক্ষা পেয়েছি।
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটের সভাপতিত্বে ও যুবলীগ নেতা সবুজ কান্তি দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আমজাদ, সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল প্রমুখ।