সুনামগঞ্জে ঈদগাহে জামাত হচ্ছে না, মাস্ক পরে আসতে হবে মসজিদে, করা যাবে না কুলাকুলি
স্টাফ রিপোর্টার :
করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে এবার সুনামগঞ্জ জেলায় রোজার ঈদের দিন ঈদগাহ বা খোলা জায়গার বদলে পাড়া বা মহল্লার মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। নির্দেশনায় মাস্ক পরিধান করে নামাজ আদায় ও কোলাকুলি, হ্যান্ডশেক(হাত মেলানো) থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে মসজিদে ঈদ জামাত আয়োজনের ক্ষেত্রে সুরক্ষার ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে জেলা প্রশাসন
এছাড়া বলা হয়েছে সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল ৭.৩০ মিনিট, সকাল ৮টা, সকাল ৮.৩০ ও সকাল ৯টায় মোট চারটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসন গণবিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে।
গণবিজ্ঞপ্তি
১। স্থানীয় বা মহল্লার ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে।
২। কোন অবস্থাতেই ঈদগাহে বা খোলা জায়গায় নামাজ আদায় করা যাবে না।
৩। জামাতে আসার পূর্ব ওযু করে আসতে হবে।
৪। অবশ্যই মাস্ক পরিধাণ করে আসেত হবে এবং জায়নামায(যদি থাকে)সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে।
৫। এক কাতার অন্তর অন্তর দাড়াতে হবে,পরস্পর পরস্পর হতে অন্তত : ৩ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৬। শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা জামাতে অংশ নিতে পারবেন না।
৭। ঈদ নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট, কাপর বিছানো যাবে না।
৮। ওযুর স্থানে সাবানসহ হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং দুই জামায়াতের মাঝে মসজিদে স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
৯। এক জামাতে জায়গা না পেলে পরের জামাতের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
১০। মহল্লার মুসল্লি আনুমানিক হিসেব করে একাদিক জামাতের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সর্বক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত ও সকলের
নিরাপত্তা রক্ষা করে জামাতে নামাজ আদায় করতে হবে।
১১। নামাজ শেষে কোন কোলাকুলি বা হ্যান্ডশেক করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
১২। করোনাভাইরাস মহামারী থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঈদের নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে খতিব ও ইমামদের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে।
১৩। খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি এসব নির্দেশনার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।