সকাল ১০:৪২,   শনিবার,   ২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,   ৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২১শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

সুনামগঞ্জে পশুর হাট, শেষ দিনে বিক্রি কম

বিশেষ প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জে শহরের সবচেয়ে বড় পশুর হাট বসেছে সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে (বালুর মাঠ)। শুক্রবার (৩১ জুলাই) ঈদের আগের দিন হওয়ার ফলে ক্রেতা বিক্রেতার ভিড়ে সরগরম হয়ে ওঠে পশুর হাট। কিন্তু বিক্রির পরিমাণ কম হওয়ার ফলে হতাশ বিক্রেতা ও ইজারাদার গণ।
সুনামগঞ্জ জেলায় এ বছর বোর ফসল ভাল হওয়ার পরও আনন্দ নেই হাওর পাড়ের মানুষের মধ্যে। কারণ করোনা ও তিন দফা বন্যার ফলে হাওর পাড়ের অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে মন্দা। অনেকেই আছেন ঈদের আগে ধান বিক্রি করে ঈদ উদযাপন করেন। কিন্তু ধানের ভাল দাম না পাওয়ার কারণে অনেক গৃহস্থ (কৃষক) দান বিক্রি করেন নি। যার ফলে তাদের ঈদের আনন্দ ফিকে হয়ে গেছে।
হাওরের জেলা সুনামগঞ্জে চাকরিজীবীর তুলনায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও কৃষকের সংখ্যা বেশি। তাই করোনাসহ বিভিন্ন কারণে ব্যবসা না হওয়ার ফলে বিপাকে পড়েছেন সবাই। তাই এ বছর সুনামগঞ্জে অন্য বছরের তুলনায় কুরবানির পরিমাণ কম হবে।
তবে সুনামগঞ্জের গরুর বাজার গুলোতে দেশী ছোট গরুর চাহিদা বেশি। ৩৫ হাজার থেকে ৪ লক্ষ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে বিভিন্ন ধরণের গরু। এ বছর খামারের পালিত গরুর চাহিদা খুবই কম। এ দিকে ছাগলের দামও অনেক বেশি বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।
জেলায় এ বছর স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ৭০ি টি হাট বসানো হয়েছে।
শহরের উকিল পাড়ার ব্যবসায়ী জয়নাব আলী বলেন, আমি প্রতি বছরই সাধ্য অনুযায়ী কুরবানি দেই । কিন্তু এ বছর ব্যবসা ভাল হয়নি তাই কুরবানি দিতে পারছি না। আশা করছি আগামী বছর দিতে পারবও।
সুনামগঞ্জ শহরের জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে গরু নিয়ে আসা বিক্রেতা আমজদ আলী বলেন, ক্রেতারা গরুর দাম অনেক কম হাঁকছেন। তাই আমাদের আসল দাম ওঠানো কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ছে। আমি গরু বিক্রি করেছি কিন্তু আশানুরুপ লাভ করতে পারি নি।
শহরের জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আসা ক্রেতা জুবেল মিয়া বলেন, গরু দাম অনেক চাচ্ছে দাম ছাড়তে চাচ্ছেন না অনেক বিক্রেতা । আমি একটি গরু ক্রয় করেছি আরেকটি কিন্তু ক্রয় করবও।
শহরের জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের ইজারাদার ওয়াসিম মিয়া বলেন, আমরা যে ভাবে আশা করেছিলাম ঐ ভাবে বিক্রি হচ্ছে না। অনেক বিক্রেতা দাম না পেয়ে গরু নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন। বেচা বিক্রি নিয়ে আমরাও কিছুটা হতাশ।