সকাল ৮:৩৬,   রবিবার,   ২৭শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,   ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,   ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সুনামগঞ্জে বন্যায় ১লাখ ৮ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত

নিউজ ডেস্ক :
সুনামগঞ্জে ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে বন্যা পরিস্থিতির আবার অবনতি হয়েছে। বুধবার (২২ জুলাই) রাত ৯টায় ষোলঘর পয়েন্টে সুরমার পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা সকালে ছিল ৩০ সেন্টিমিটার।
এদিকে নদী উপচে হাওরে পানি বাড়তে শুরু করছে। এতে করে জেলার ১১ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িতে পানি ওঠে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত শনিবার থেকে আবারও সুনামগঞ্জে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। একই সময়ে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে সুনামগঞ্জের উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিসহ আশপাশের এলাকায়। এ কারণে পাহাড়ি ঢল নামছে। এতে জেলার প্রধান নদী সুরমাসহ অন্যান্য নদ-নদী ও হাওরে পানি বাড়ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে বৃষ্টি হয়েছে ১২০ মিলিমিটার। একই সময়ে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হয়েছে ৩৯০ মিলিমিটার। আগামী ২৪ ঘণ্টা উজানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নবীনগর, ষোলঘরর, উত্তর আরপিননগর, জেলরোড, তেঘরিয়া, পূর্ব নতুনপাড়া, ওয়েজখালী ও কালিপুর এলাকার বাসাবাড়িতে আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে। ফলে সুনামগঞ্জ জেলার সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, বিশ্বম্ভরপুর, জগন্নাথপুর, জামালগঞ্জ ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ।
এছাড়া জেলা সদরের সঙ্গে বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার ও জামালগঞ্জ উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জেলার ৮৭ টি ইউনিয়ন ও ৪ পৌরসভার ২২১ টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১ হাজার ১০৬ টি পরিবারের ৭ হাজার ৫১৯ জন আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩ হাজার ৫১০ নারী ২ হাজার ৯৫৭ জন ও শিশু ১ হাজার ৫২ জন।
জেলায় ১ লাখ ৮ হাজার ৫৭৯ টি পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৪৮৯ হেক্টর জমির ফসল ও ৩৬০ কিলোমিটার নদীর তীর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ৮৬৫ মেট্রিকটন চাল, ৫১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ২ হাজার ৪০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ২ লাখ টাকার গোখাদ্য দুই লাখ টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, বন্যা মোকাবেলায় কাজ করছে প্রশাসন। উপজেলাগুলোতে কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।