সন্ধ্যা ৬:১৭,   বুধবার,   ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ৯ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সুনামগঞ্জ শহরে ঢুকে পড়েছে সুরমা নদীর পানি

স্টাফ রিপোর্টার :
পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতে সুনামগঞ্জের বাড়তে শুরু করেছে সুরমা নদীর পানি। সুরমা নদীর পানি বেড়ে গিয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। ঢল ও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে বন্য্যার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর-তাহিরপুর সড়ক।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সুামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি ষোলঘর পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৩ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সর্বশেষ ২৪ঘন্টায় সুনামগঞ্জে ১৯০মি.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে সুরমা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় সুনামগঞ্জ শহরের নদী তীরবর্তী নবীনগর, ষোলঘর, কাজিরয়েন্টে, উকিলপাড়া, উত্তর আরপিননগর, তেঘরিয়া, পশ্চিমবাজার এলাকায় জলাবদ্ধাতা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার অনেক সড়কে জলাদ্ধতার কারণে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এসব এলাকার অনেক ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে গেছে। পানি বন্ধী হয়ে পড়েছেন অনেক মানুষ।
শহরের পশ্চিমহাজিপাড়ার আল জুলফিকার জনি বলেন, এমনিতেই করোনা কারণে ঘরবন্ধী, তার উপর আবার ঘরে পানি উঠার উপক্রম। মূল সড়কে পানি উঠায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে।
শহরের আরপিননগর এলাকার দিপু আহমদ বলেন, সুরমা নদীর পানি বাড়লেই আমাদের এলাকার মানুষ বিপাকে পড়ে। সড়ক উপছে পানি ঘরবাড়িতে ঢুকে পড়ে। শনিবার সকালেও এলাকার অনেক ঘরে পানি ঢুকে গেছে। পানি নিষ্কাশনে দ্রুত উদ্যেগ নেয়া প্রয়োজন।
শহরের পশ্চিমবাজার এলাকার ব্যবসায়ী দিবাকর দাস বলেন, আমার দোকানে রাতে হটাৎ করে সুরমা নদীর পানি ঢুকে গেছে। ড্রেনে ময়লা জমে যাবার কারণে পানিও নামছে না। আমরা ব্যবসায়ী পড়েছি বিপাকে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান বলেন, ভারতের মেঘালয়- চেরাপুঞ্জিতে গত ৭২ ঘণ্টায় ৯০২ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। যা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ। একারণে সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, পাহাড়ি ঢল নামছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে।