সোনালী ব্যাংকে মানুষের ভীড়, প্রশ্নবিদ্ধ সামাজিক দূরত্ব!
আবির হাসান-মানিক :
তাহিরপুরে সরকারি-বেসরকারি চাকুরীজীবীদের বেতন-ভাতা উত্তোলনের ঠিকানা এই একটি ব্যাংক! স্বভাবতই ব্যাংকের ভেতরে লোকজনে গিজগিজ করবে। হচ্ছেও তাই!
রবিবার শিক্ষকদের বেতন আর অবসরপ্রাপ্ত চাকুরিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দেয়া হচ্ছে একমাত্র ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড সুনামগঞ্জের তাহিরপুর শাখায়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ভিড় এড়াতে নানা ভাবে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে বারবার। ভীড়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে অধিকাংশ শিক্ষকই ব্যাংকের এহেন দৃশ্য দেখে নভেল করোনা ভাইরাস ছড়ানোর আতংকে ঘরে ফিরে গেছেন। আর এমন কর্মকাণ্ডে সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেে সমালোচনা মেতে উঠেছে নানান শ্রেণিপেশার মানুষ। অনেক শিক্ষকও এমন ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা প্রশ্ন তুলেছেন যারা মানুষকে সচেতন করার কথা তারা যদি এমনটি করেন তখন প্রশাসন একার পক্ষে কি করবে?
সোনালী ব্যাংক তাহিরপুরের ব্যবস্থাপক অনুপম কান্তি চক্রবর্তী বলেন, আজ শিক্ষকগণের বেতন এবং অবসরপ্রাপ্ত চাকুরিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দেওয়া হচ্ছে। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি দুই জন করে ব্যাংকে প্রবেশ করাতে। কিন্তু আনসার দিয়েও সামলাতে পারিনি। লোকজনের ভীড়ে ব্যাংকের কাজে জড়িত আমরাও সবাই অনিরাপত্তা বোধ করছি।
তাহিরপুর উপজেলা শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ও নোয়ানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখর রায় বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এমন ঘটনা শিক্ষকদের শিক্ষা ও নৈতিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তবে এটাও সত্যি অধিকাংশ শিক্ষকই টাকা তুলতে যাননি আবার অনেকেই এ অবস্থা দেখে ব্যাংক থেকে ফিরে এসেছেন।
সমাজকর্মী ও সাবেক ইউপি সদস্য জোসেফ আখঞ্জি বলেন, কিছু সংখ্যক শিক্ষক আজ ব্যাংক কে মাছ বাজারে পরিণত করেছেন। এই করোনা সময়ে তাদের কাছ থেকে এমনটা আশা করিনি আমরা।
তাহিরপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ বলেন, শিক্ষকদের মধ্যে অবশ্যই সচেতনতা থাকতে হবে। তিনি নিজ স্কুল ও ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় সচেতনতা তৈরী করবেন। দেশের এ অবস্থায় এমন ঘটনা নিশ্চিতভাবে দণ্ডযোগ্য অপরাধ।