স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, যার যার ঘরে থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
নিউজ সুনামগঞ্জ ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, যার যার ঘরে থাকুন। তিনি বলেছেন, এই মুহূর্তে আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার মানুষকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, অযৌক্তিক ভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়াবেন না, কেউ সুযোগ নেবেন না। বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস সম্পর্কিত বিষয়সহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারে একযোগে সম্প্রচারের পাশাপাশি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলোও প্রধানমন্ত্রীর এ ভাষণ প্রচার করে।
প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতে বঙ্গবন্ধুসহ স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদের স্মরণ করেন। এরপর প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস নিয়ে তিনি বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের স্বাধীনতা দিবস এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে উদযাপিত হচ্ছে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গোটা বিশ্ব এখন বিপর্যস্ত। ধনী বা দরিদ্র, উন্নত বা উন্নয়নশীল, ছোট বা বড়- সব দেশই আজ কমবেশি নভেল করোনা নামক এক ভয়ঙ্কর ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত। আমাদের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশও এ সংক্রমণ থেকে মুক্ত নয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে আমরা এবারের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ভিন্নভাবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জনসমাগম হয় এমন ধরনের সব অনুষ্ঠানের আয়োজন থেকে সবাইকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনসহ সকল জেলায় শিশু সমাবেশ ইতোমধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই কারণে আমরা মুজিববর্ষের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জনসমাগম না করে টেলিভিশনের মাধ্যমে সম্প্রচার করেছি।
শেখ হাসিনা তার সরকার নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও দেশের অগ্রযাত্রা তুলে ধরে বলেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস জনস্বাস্থ্যসহ বৈশ্বিক অর্থনীতির উপর নেতিবাচক থাবা বসাতে যাচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা আভাস দিচ্ছেন। আমাদের উপরও এই আঘাত আসতে পারে। আমি জানি আপনারা এক ধরনের আতঙ্ক ও দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। যাঁদের আত্মীয়স্বজন বিদেশে রয়েছেন, তাঁরাও তাঁদের নিকটজনদের জন্য উদ্বিগ্ন রয়েছেন। আমি সকলের মানসিক অবস্থা বুঝতে পারছি। কিন্তু এই সঙ্কটময় সময়ে আমাদের ধৈর্য এবং সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। এই ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের উপদেশ আমাদের মেনে চলতে হবে। আমাদের যতদূর সম্ভব মানুষের ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে।