সন্ধ্যা ৭:০১,   বুধবার,   ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ৯ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

স্মরণ সভায় বক্তারা : জগলুল গণমানুষের নেতা ছিলেন

স্টাফ রিপোর্টার :
সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক প্রয়াত মেয়র আয়ূব বখত জগলুলের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর হাসন রাজা মিলনায়তনে আয়ূব বখত জগলুল স্মৃতি পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আফতাব উদ্দিন।
স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন, আয়ূব বখত জগলুল ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার নেতা। যিনি সবসময় সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে গিয়েছেন, তিনি গণমানুষের নেতা ছিলেন। আয়ূব বখত জগলুল কোন হাইব্রিড নেতা ছিলেন না। তিনি ছিলেন তৃণমূল পর্যায়ের নেতা। সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের জিএস থেকে শুরু করে তার স্থান হয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগে। এই জগলুলের হাত ধরেই সুনামগঞ্জ পৌরসভা হয়েছে একটি আধুনিক পৌরসভা। আয়ূব বখত জগলুলকে চিনে না সুনামগঞ্জে এমন কোন মানুষ নেই। জগলুল সব জায়গায় তার পদচিহ্ন রেখে গিয়েছে। তার চিন্তায় সার্বক্ষণিক থাকতো পৌরবাসীর উন্নয়ন। সে তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত পৌরবাসীর কল্যাণে কাজ করে গিয়েছেন।
বক্তারা আরও বলেন, আয়ূব বখত জগলুলের মৃত্যুর খবর যখন পুরো সুনামগঞ্জে ছড়িয়ে পড়লো, তখনই সুনামগঞ্জের পৌরবাসীদের চোখে পানি চলে আসছে। খুব কম সময়ে সে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। আয়ূব বখত জগলুলের জানাজার নামাজে এতো মানুষের অংশগ্রহণই বলে দিয়েছিলো সে কতটুকু জনপ্রিয় ছিলো। আয়ূব বখত জগলুল কোন সময় অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়নি, সে যখন শাসন করার প্রয়োজন তখন শাসন করেছে তবে মমতার মধ্য দিয়েই শাসন করেছে। তার ইচ্ছা ছিলো সুনামগঞ্জ পৌরবাসীর সকল নাগরিক অসুবিধার সমাধান। যার কারণে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করার কথা ছিলো ঢাকায়, তাছাড়া তিনি আরও কয়েকটি স্থানে যান শুধুমাত্র পৌরবাসীর উন্নয়নের জন্য, কিন্তু দুঃখের বিষয় জগলুল তখনই আমাদের ছেড়ে চলে যান।
বর্তমান মেয়র নাদের বখতের উদ্দেশে বক্তারা বলেন, প্রয়াত মেয়র আয়ূব বখত জগলুলের অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন এই পৌর এলাকাকে নিয়ে। তিনি তার কাজগুলো সমাপ্ত করে যেতে পারেননি। কিন্তু আমরা সবাই চাই আয়ূব বখত জগলুলের ছোট ভাই বর্তমান মেয়র নাদের বখত যেনো তার স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নের লক্ষে কাজ করে যায়। আয়ূব বখত জগলুলের রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ নাদের বখত পূরণ করুন সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। আয়ূব বখত জগলুল কখনো ভোটের রাজনীতি করতেন না, তিনি সাধারণ মানুষের হয়ে রাজনীতি করেছেন এবং নাদের বখতও সেই রাস্তায় চলতে হবে।
আওয়ামী লীগ নেতা বিমান কান্তি রায়, বিজয় তালুকদার বিজু, শাহ আবু নাসের ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রিপনের যৌথ সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় বক্তব্য দেন, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ অ্যাড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শরিফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, মালেক হোসেন পীর, সাবেক পিপি অ্যাড. রইছ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষাবিদ ধূর্জটি কুমার বসু, পরিমল কান্তি দে, ন্যাথানায়েল এডইউন ফেয়ারক্রস, যোগেশ্বর দাস, দিলীপ কুমার মজুমদার, জেলা উদীচীর সভাপতি নারীনেত্রী শীলা রায়, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ মনোয়ার আলী, লেখক ও কলামিস্ট হোসেন তওফিক, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খায়রুল কবির রুমেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হায়দার চৌধুরী লিটন, অ্যাড. নান্টু রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুর রহমান সিরাজ, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাড. হুমায়ুন মঞ্জুর চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. চান মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম শেফু, জিতেন্দ্র তালুকদার পিন্টু, জসিম উদ্দিন দিলীপ, মোবারক হোসেন, জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি নাদের আহমেদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম, অধ্যক্ষ শেরগুল আহমেদ, প্রয়াত মেয়র আয়ূব বখত জগলুলের ভাই ইয়াকুব বখত বহলুল, দৈনিক সুনামকণ্ঠের সম্পাদক বিজন সেন রায়, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শোয়েব চৌধুরী, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের ভিপি মনিষ কান্তি দে মিন্টু, আক্তারুজ্জামান সেলিম, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, সাবেক প্যানেল মেয়র মনির উদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।
আলোচনা সভার শুরুতে প্রয়াত মেয়র আয়ূব বখত জগলুলের আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে আয়ূব বখত জগলুলের উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র তুলে ধরে সুনামগঞ্জ প্রসেনিয়াম।