হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
স্টাফ রিপোর্টার :
সুনামগঞ্জ হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ সরকার নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’ ।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে অুনষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাঁধের কাজের বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্ণীতির বাস্থব চিত্র সাংবাদিকদের দধ্যে তুলে ধরেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের কার্যকরি সভাপতি আবু সুফিয়ানের সভাপিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়।
লিখিত বক্তব্য তিনি উল্লেখ করেন, আমারা বাঁধের কাজ যথা সময়ে শুরু করা এবং যথা সময়ে শেষ হয়নি। বাঁধের প্রাক্কলন তৈরির সময় থেকে ‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’ এর পক্ষ থেকে তাগিদ দেয়া হয়েছে। কিন্ত কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয়নি। কিন্তু কৃষকদের ন্যাহ্য দাবি বারবার উপেক্ষা করা হয়েছে। বাঁধ নীতিমালী-২০১৭ আমলে না নিয়ে তাদের খেয়াল খুশি মতো ইউএনও কার্যালয়ে বসে পিআইসি গঠন করা হয়। প্রকল্প গ্রহনই এই অনিয়ম-দূর্ণীতি মুল কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি।
তিনি বলেন, আমরা লক্ষ করছি ১৫ ডিসেম্বর থেকে কাজ শুরু এবং শেষের ব্যাপারে প্রশাসদের তৎপরতা না থকালেও কাজের শেষ সময়ে এস তারা তৎপর হয়ে উঠছেন, গত তিন দিনে জেলার বিভিন্ন উপজেলার পিআইসি সভাপসিদের গ্রেফতারের হিরিক পড়েছে আমরা মনে করি এটা প্রশাসন নিজকে ধায়মুক্তি করার জন্য করছে। কাজ শুরু থেকে পিআইসিকে চাপে রাখলে ২৮ ফ্রেবুয়ারির আগেই কাজ শেষ হয়ে যেতো। পাউবোর অগ্রগতি প্রতিবেদনেও হাওরের কাজের সঙ্গে কোন মিল নেই।
পাউবো সূত্রে জানা যায়, সরকারে ঘোষিত এই সময়সীমার মধ্যে কাজ হয়েছে গড়ে ৭৫% বাস্তবে ৫০-৬০% এর বেশী নয়। যা কৃষকদের আশঙ্খয় রেখেছে। এর প্রতিবাদে আমরা ‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’ আগামী ২ মার্চ শনিবার আগামী ২মার্চ থেকে জেলা সদর থেকে জেলার সকল উপজেলা সদর ও ইউনিয়ন পর্যায়ে পথসভা কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
সংবাদ সম্মেলন থেকে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বক্তারা বলেন, ২০১৭ সালের মতো হাওরের কোন বিপর্যয় হলে, কৃষকদের নিয়ে প্রয়োজনে পাউবো অফিস, ডিসি অফিস, ইউএনও অফিস ঘেরাও কর্মসূচিসহ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। প্রয়েজনে কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় আমরা আদালতে মামলা করবো।
সংবাদ সম্মেলনে জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়র সাংবাদিক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, হাওর বাঁচাও আন্দোলনের উপদেষ্ঠা রনেন্দ্র কুমার দে, সহ সভাপতি সুখেন্দু সেন, কার্যকরি সদস্য ডা. মুর্শেদ আলম, মুক্তিযোদ্ধা মালেক হোসেন পীর, ইয়কুর বখত বহলুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালেহীন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরানুল হক চৌধুরী, এ কে কুদরত পাশা, সদর উপজেলা সভাপতি স্বপন দাস, সাধারণ সম্পাদক শহীদ নুর আহমদ, দিরাই উপজেলা সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য চন্দন রায়, মানব চৌধুরী, সাবেক পৌর কমিশিনার মতি লাল চন্দ প্রমুখ।