রাত ১১:২৩,   শুক্রবার,   ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১২ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২৪শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ছাতক থানায় হেফাজতের হামলা, পুলিশের মামলা দায়ের

স্টাফ রিপোর্টার:
নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার রিসোর্টে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে হেনেস্তার প্রতিবাদে সুনামগঞ্জের ছাতক পৌর শহরের স্থানীয় হেফাজত অনুসারীরা বিক্ষোভ মিছিলের পাশাপাশি থানা ও কয়েকটি দোকানে হামলা চালিয়েছে ভাংচুর করে।
শনিবার (৩ এপ্রিল) রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। থানায় হামলার আগে ছাতক পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে হেফাজতে ইসলামের অনুসারীরা। হামলায় ছাতক থানার দুইজন অফিসার ও পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২৬ রাউন্ড টিয়ারসেল ও ১০৮ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। হামলায় জড়িত সন্দেহে রাতেই ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (৪ এপ্রিল) দুপুরে ছাতক থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) আনোয়ার মিয়া হামলার ঘটনায় ৫ শ জন কে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। তাৎক্ষণিক ভাবে কাকে কাকে আসামি করা হয়েছে তা জানা যায় নি।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজিম উদ্দিন জানান, হেফাজত সমর্থকদের হামলার ঘটনায় আমাদের একজন পুলিশ কর্মকর্তা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
উল্লেখ্য, গতকাল হেফাজতের ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে নারায়নগঞ্জের সোনার গাঁও রিসোর্টে হেনস্তা ও লাঞ্ছিত করা হয়েছে এমন খবর পেয়ে ছাতক পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে হেফাজতে ইসলামের অনুসারীরা।
বিক্ষোভের এক পর্যায়ে পৌর শহরের দোকানপাট ও থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। হামলায় থানা ভবনের সেবা চত্বরের গোলঘর ও অন্তত চারটি দোকান ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইট-পাথরের আঘাতে ৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, এসআই আনোয়ার মিয়া, এসআই সামছুল আরেফিন, কনস্টেবল রাকিব উদ্দিন, সাইদুল ইসলাম, দিলশাদ মিয়া, রবিউল আলম ও সুবল দাস। আহত পুলিশ সদস্যরা ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২৬ রাউন্ড টিয়ারসেল ও ১০৮ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। হামলায় থানার গোলঘর ও শহরের চারটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে কোনও ধরনের অপ্রিতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ছাতক শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।