রাত ৯:২২,   রবিবার,   ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২৬শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ভোটে হেরে ইভিএমে জটিলতার অভিযোগ আ.লীগ প্রার্থীর


রেজওয়ান কোরেশী, জগন্নাথপুর
জগন্নাথপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বর্তমান পৌর মেয়র মিজানুর রশীদ ভূঁইয়া পৌর এলাকায় তিনটি ভোট কেন্দ্রে ইলেট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) জটিলতার কারণে ভোটাররা ভোট দিতে না পেরে চলে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন। গতকাল (১৬ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনের আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ দিকে এই পৌর নির্বাচনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আক্তারুজ্জামান আক্তার চামচ প্রতিক নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে জয় লাভ করেন। তিনি ৮ হাজার ৩শ ৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা হিসেবে নৌকা প্রতিকে মিজানুর রহমান ভূইয়া পান ৮ হাজার ১৮ ভোট। আর ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে হারুন অর রশিদ পেয়েছেন মাত্র ৮শ ১৭ ভোট। রোবাবার দুপুরে রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এই মেয়র প্রার্থী। লিখিত অভিযোগে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রশীদ ভূঁইয়া বলেছেন, পৌর এলাকার ৬ নং ওয়ার্ড জগন্নাথপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৭ নং ওয়ার্ড ইকড়ছই ফাজিল মাদ্রাসা ভোট
কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলার দক্ষিণ পাশে ও পশ্চিম পাশের কেন্দ্রে ইভিএম জটিলতায় অনেক ভোটার ভোট দিতে পারেনি। অনেক ভোটার ও কেন্দ্রে থাকা আমার এজেন্ট বিষয়টি আমাকে জানালে আমি মুঠোফোনে ইভিএম মেশিনের চার্জ না থাকা ও মেশিনের কারিগরি ক্রুটির কথা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করি। উনি টেকনিশিয়ান পাঠিয়ে বিষয়টি সুরাহার আশ্বাস দেন। এর মধ্যে অনেক
ভোটার ভোট প্রয়োগ না করে ফিরে যান। ওই কেন্দ্রে তিনটি তে পরবর্তীতে অনেক ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে পারেন নি। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় অনেক নারী ও পুরুষ ভোটার ভোট না দিয়ে বাড়ি চলে যান। এতে করে জগন্নাথপুর পৌর সভা নির্বাচনে সঠিকভাবে মানুষের ভোটের প্রতিফলন ঘটেনি বলে আমি মনে করি। নির্বাচন কমিশন যেহেতু সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনমতের প্রতিফলনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তাই বঞ্চিত ভোটারদের ভোট প্রয়োগের ব্যবস্থা করে দেওয়া কমিশনের দায়িত্ব। তিনি বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ প্রহণের দাবি জানান।
জগন্নাথপুর পৌর নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার বলেন, নির্বাচন চলাকালিন সময়ে কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। উনি ছড়াও কাউন্সিলর এবং আরও মেয়র প্রার্থী নির্বাচন করেছেন কারো কোনও অভিযোগ পাই নি। আজকে তিনি জটিলতা নিয়ে অভিযোগ করছেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ইভিএম মেশিন দেয়া ছিল নির্বাচনী কেন্দ্রের প্রতিটা ভুতে। এ ছাড়াও
যে কোনও জটিলতা এড়াতে তাৎক্ষিণ ভাবে সমস্যা সমাধান করতে নির্বাচন কমিশনের
টেকনিক্যাল টি প্রস্তুত ছিল। আমি ভোটের দিন দুইটা পর্যন্ত ঐ স্থানে ছিলাম।