নিউজসুনাগঞ্জ ডেস্ক:
শাল্লার নোয়াগাঁওয়ে গ্রামে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন ফেইসবুকে পোস্ট দাতা ঝুমন দাসের মা।
বৃহস্পতিবার (০১ এপ্রিল) দুপুরে আমল গ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম কান্ত সিনহা’র আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ঝুমন দাস আপনের মা নিভা রানী দাস।
আদালত মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কে তদন্তের জন্য দিয়েছে। মামলায় আসামী করা হয়েছে ৭২ জনকে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবি অ্যাডভোকেট দেবাংশ শেখর দাস।
তিনি জানান, শাল্লা থানা পুলিশ মামলাটি না নেওয়ায় আমরা আদালতে দাখিল করেছি। আদালত বাদীর জবানবন্ধী নিয়ে মামলাটি তদন্ত করে ডিবির ওসিকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
নিভা রানী দাস মামলায় উল্লেখ করেছেন, তার ঘরে হামলাকারীরা ঢুকে পুত্রবধুকে শ্লীলতাহানীরও চেষ্টা করে। মামলায় তিনি নাচনি, চন্ডিপুর, ধনপুর ও কাশিপুরসহ কয়েকটি গ্রামের ৭২ জনের নাম উল্লেখ করেন।
মামলার বাদী নিভারাণী দাস আরো উল্লেখ করেন, গত ২৫ মার্চ এই মামলাটি তিনি শাল্লা থানায় দায়ের করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ মামলাটি না নেওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার আদালতে মামলাটি দাখিল করেছি। আদালতের কাছে তিনি এই ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন। একই সঙ্গে তার ছেলেরও মুক্তি দাবি করেন।
গত ১৬ মার্চ নিভা রাণী দাসের ছেলে ঝুমন দাশ আপন আল্লামা মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেবার জেরে উত্তেজিত জনতা সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চালানো হয়। এতে গ্রামে ৮৫টি ঘরে লুটপাট ও ভাংচুর চালায়।
এদিকে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াগাঁওয়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেছেন। একই সময়ে দলের পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেনে, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, কেন্দ্রীয় নেতা সুজিত চন্দ্র নন্দি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, আওয়ামী লীগ নেতা ব্যারিস্টার ডাল্টন তালুকদার, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, শাল্লা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলামিন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের নেতা সুবীর তালুকদার বাপ্টু প্রমুখ।