সন্ধ্যা ৭:২২,   রবিবার,   ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২৬শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

পরাজয় নিয়ে যা বললেন বিএনপি’র প্রার্থী মুর্শেদ আলম


বিশেষ প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জ পৌরসভায় সদ্য অনুষ্টিত নির্বাচনের ফলাফলে ভোট বেড়েছে বিএনপি’র। প্রায় ১৫ বছর পর বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী উল্লেখ্যযোগ্য পরিমান ভোট পেয়েছেন শনিবারর নির্বাচনে।
ভোটের হিসেবে ২০০৪ সালের পর কোন প্রার্থীই হাজারের হিসেবে তিন অঙ্ক পেরুতে না পারলেও এবারের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী প্রায় ছয় হাজার ভোট পেয়েছেন। নেতাকর্মীরা বলছেন, বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা আরেকটু সক্রিয় হলে দলীয় প্রার্থী দশ হাজার ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
এদিকে বিএনপির প্রার্থী একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাতকারে দলীয় অনেক নেতার বিরুদ্ধে সরাসরি বিরোধীতা করার অভিযোগ করেছেন।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন দেওয়ান সাজাউর রাজা চৌধুরী সুমন। তিনি সে নির্বাচনে মাত্র ১৮৮৯ ভোট পেয়েছিলেন। সে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও দেওয়ান গণিউল সালাদীন ৯হাজার ৪৮৫ভোট পেয়েছিলেন। এর আগে শেরগুল আহমদ আড়াই হাজার ভোট পেয়েছিলেন বিএনপি’র প্রার্থী হয়ে।
এবারের নির্বাচনে জেলা শহরে প্রথমে প্রার্থী সংকটে পড়ে বৃহৎ দল বিএনপি। পরে নতুন মুখ জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মুর্শেদ আলমকে দলীয় প্রার্থী করা হয়। নতুন মুখ হওয়ায় ভোট প্রাপ্তি নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন নিজ দলের নেতাকর্মীরা। এছাড়া নেতাদের দায়সারা প্রচারণা, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নির্বাচন অফিস না থাকা, দলের একটি অংশ প্রচার-গণসংযোগ থেকে বিতর থাক অভিযোগ ছিলা। তবে, মুর্শেদ আলম শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুলকে নিয়ে জোরেশোরে প্রচারণা, গণসংযোগ করেন। তাঁর পরিবারের লোকজনও ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট প্রার্থণা করেন। সবার জল্পনা-কল্পনা অবসান ঘটিয়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মুর্শেদ আলম ১৫ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করে ৫৮৮৫ ভোট পান। অনেক কেন্দ্রে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতি কম থাকলেও সেসব কেন্দ্রে উল্লেখ্যযোগ্য পরিমান ভোট পান তিনি।
এদিকে বিএনপির প্রার্থী একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাতকারে দলীয় অনেক নেতার বিরুদ্ধে বিরোধীতা করার অভিযোগ করেছেন।
মুর্শেদ আলম অভিযোগ করে বলেন, এবারের নির্বাচন সুষ্টু হয়েছে, পুলিশের ভূমিকার কারণে কেউ সেন্টার দখল করতে পারে নি। আমার দলের সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম নুরুল ও ছাত্রদল বাদে টোটাল দল নির্বাচনে নিস্ক্রিয় ছিল। জেলা বিএনপি নেতা সেলিম উদ্দিন ভুট্রো, অ্যাডভোকেট শেরেনূর আলী, রেজাউল হক, জয়নুল জাকেরীনের কেন্দ্রে ধানের শীষ পরাজিত হয়েছে। তাঁরা দলের শীর্ষ নেতা। তাাঁরা নৌকার পক্ষে ছিলেন। আমার ভরাডুবি হয়েছে আমার দলের কোন্দলের কারণে, নেতাদের কারণে। আমি বার বার বিএনপি নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নুল জাকেরীন ফোন করেছি, তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।