বিকাল ৫:২৩,   শুক্রবার,   ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১২ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২৪শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

দ. সুনামগঞ্জে জোড়া খুনে জড়িতদের ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন

নোহান আরেফিন নেওয়াজ,দক্ষিণ সুনামগঞ্জ:
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার জয়কলস গ্রামের জোড়া খুনের ঘটনায় দোষী ও জড়িতদের ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১১ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায় সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের জয়কলস পয়েন্ট এলাকায় জয়কলস গ্রামের নিহত দিপু বিশ্বাস ও জামিনী বিশ্বাসের পরিবার ও এলাকাবাসীর আয়োজনে শতাধিক লোকজনের উপস্থিতিতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জয়কলস গ্রামের নিহত জামিনী বিশ্বাসের স্ত্রী ছায়ারানী বিশ্বাস, নিহত দিপু বিশ্বাসের স্ত্রী বেবি রানী বিশ্বাস, ছাতক কচুরগাঁও গ্রামের নিতাই বিশ্বাস, নিহতের ভাই দিলু বিশ্বাস, রাজেন্দ্র বিশ্বাস, নিহত জামিনী বিশ্বাসের ছেলে রাজেন্দ্র বিশ্বাস, ভাতিজা পিন্টু বিশ্বাস, জয়কলস গ্রামের ঝন্টু বিশ্বাস, হরলাল বিশ্বাস, রাজেন্দ্র কান্তি সরকার, সুভল বিশ্বাস, লাবন্য বিশ্বাস, কমলা বিশ্বাস, পরশ রানী বিশ্বাস, উজানীগাঁও গ্রামের সালেহ আহমদ লিটন, রাকেশ বিশ্বাস, অতুল বিশ্বাস, সূচিত্রা বিশ্বাস, রবি বিশ্বাস, শুকলা বিশ্বাস ও মিন্টু বিশ্বাস প্রমুখ।
মানববন্ধনে নিহত দিপু বিশ্বাস ও জামিনী বিশ্বাসের পরিবারের সদস্যরা তাদের বক্তব্যে বলেন, নিহত দিপু বিশ্বাস ও জামিনী বিশ্বাসের
প্রকৃত খুনী জয়কলস গ্রামের শৈলেন্দ্র তালুকদারের ছেলে নিউটন তালুকদার, কৃষ্ণমাস্য দাসের ছেলে বাবুল মাস্য দাস, মৃত রমন বিশ্বাসের ছেলে রন বিশ্বাস, হরিদাস তালুকারের ছেলে মিল তালুকদার ভাগা ও বিনয় গোস্বামীর ছেলে গৌরপদ গোস্বামীরা এখনো থেকে এলাকায় প্রকাশ্যে চলা ফেরা করছে। তবুও তারা পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। পুলিশ একজন আসামী রন বিশ্বাসকে ধরলেও নিহত দিপু বিশ্বাস ও জামিনী বিশ্বাসের অন্যান্য খুনিদেরকে আঁড়াল করার চেষ্ঠা চলছে। তাই অনতিবিলম্বে জোড়া খুনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দিতে হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ শে ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে জয়কলস গ্রামের মৃত লাল মোহন বিশ্বাসের ছেলে দিপু বিশ্বাস (৪০) ও মৃত কানাই লাল বিশ্বাসের ছেলে জামিনী বিশ্বাস গুরুতর আহত হন। পরবর্তীতে তাদেরকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসাপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার দিপু বিশ্বাসকে মৃত ঘোষনা করেন এবং ঘটনার ১ দিন পর নিহত জামিনী বিশ্বাস সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।