ইন্টারনেট-ক্যাবল টিভি বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত
![](https://newssunamganj.com/wp-content/uploads/2020/10/ইন্টারনেট-ক্যাবল-টিভি-বন্ধের-সিদ্ধান্ত-স্থগিত.jpg)
নিউজ সুনামগঞ্জ ডেস্ক :
সারাদেশে বাসাবাড়ি, অফিস ও ব্যাংকসহ সব পর্যায়ে ইন্টারনেট ডাটা কানেক্টিভিটি এবং ক্যাবল টিভি বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ অক্টোবর) ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যায়োসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এবং ক্যাবল অপারেটর অব বাংলাদেশ (কোয়াব) আয়োজিত এক জুম মিটিংয়ে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম, মহাসচিব ইমদাদুল হক এবং কোয়াবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এসএম আনোয়ার পারভেজ এ ঘোষণা দেন।
রোববার আইএসপিএবি এবং কোয়াবের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠকে বসবেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। এই বৈঠক থেকেই ঝুলন্ত তার অপসারণ বিষয়ে স্থায়ী সমাধান আসবে বলে আশা করছেন তারা।
অনলাইন বৈঠকে যুক্ত হয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, দীর্ঘ সময় ধরেই ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যায়োসিয়েশন অব বাংলাদেশের তার কাটা নিয়ে নানা সংস্থার সঙ্গে আলাপ করেছি। একসময় বিদ্যুৎ বিভাগ সংযোগ কাটত। এখন দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কাটছে। কিন্তু এখনও যৌক্তিক কোনো সমাধান নেই। তাই আমি এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে অবহিত করেছি। আশার কথা হলো মন্ত্রী দুই সিটি করপোরেশনকে লিখিতভাবে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন আপাতত তার না কাটতে।
এ সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আপনাদের কালকের ধর্মঘটটি আপাতত প্রত্যাহার করার অনুরোধ করছি। অন্তত আগামী সাতদিন সময় দিন। এর মধ্যেই সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে পরামর্শ করে এর একটি যৌক্তিক সমাধান বের করব। সে পর্যন্ত ধর্মঘট প্রত্যাহার করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।
আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, আগামীকাল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে আমাদের বৈঠকের কথা রয়েছে। বৈঠকে যৌক্তিক সমাধান পাব বলে আমরা আশা করছি। যে কারণে ইন্টারনেট-ক্যাবল টিভি বন্ধের সিদ্ধান্ত আপাতত আমরা স্থগিত করছি।
এর আগে রাজধানীর ঝুলন্ত তার অপসারণের প্রতিবাদে রোববার থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখার কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল আইএসপিএবি এবং কোয়াব।
গত সোমবার (১২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী সমাধান না করা পর্যন্ত কোনো ঝুলন্ত ক্যাবল অপসারণ না করাসহ পাঁচ দফা দাবি জানায় আইএসপিএবি ও কোয়াব।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- আইএসপিএপি, কোয়াব, বিটিআরসি, এনটিটিএন এবং সিটি করপোরেশন সমন্বয়ে ‘লাস্ট মেইল ক্যাবল’ স্থাপন করা হয়েছে কি না- তা নিশ্চিত করার জন্য একটি কমিটির মাধ্যমে সরেজমিনে তদন্তের ব্যবস্থা করা; সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাসাবাড়ি, অফিস ও ব্যাংকসহ সব পর্যায়ে ইন্টারনেট ও ক্যাবল টিভি সেবার মূল্য নির্ধারণ করা; গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ও ক্যাবল টিভি সেবা স্বল্পমূল্যে দেয়ার লক্ষ্যে এনটিটিএনের মূল্য সরকারের মাধ্যমে নির্ধারণ করা এবং গ্রাহক পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদানে নিশ্চয়তার পক্ষে এনটিটিএনগুলো সার্বিক সক্ষমতা আছে কি-না তা যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা।