বিকাল ৩:৩৬,   শনিবার,   ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সদর হাসপাতালের প্রধান সহকারি ইকবালের অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত শুরু

বিশেষ প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের প্রধান অফিস সহকারি কাম হিসাবরক্ষক মো. ইকবাল হোসেন ও তার সহধর্মীনি রেহেনা বেগমের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট বিভাগীয় (স্বাস্থ্য) পরিচালক ড. মো. আনিসুর রহমান সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে এসে তদন্ত শুরু করেন।
সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, তদন্ত কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহামন সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে এসে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
গত জুন মাসে এলাকার ৩২ জন সচেতন ব্যক্তি স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ ডাকযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের প্রধান অফিস সহকারি কাম হিসাবরক্ষক মো. ইকবাল হোসেন ও তার সহধর্মীনি রেহেনা বেগমের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার,অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে এনে ডাক যোেেগ অভিযোগ পাঠান।
এর অনুলিপি দেওয়া হয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী, সুনামগঞ্জের ৫টি সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব, সিলেটের বিভাগীয় কমিশিনার, পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগের অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি, সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন, সিলেট দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক ও সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের প্রধান অফিস সহকারি ইকবাল গত ১২ বছর ধরে একই কর্মস্থলে থেকে হাসপাতালের বিভিন্ন বাজেট ও খাতের বরাদ্দ নিয়ম বহির্ভূতভাবে আত্মসাৎ করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ইকবালের অবৈধ সম্পদ, বাড়ি, গাড়ির মালিক হওয়ায় সুনামগঞ্জের সচেতন মহলে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে। সুনামগঞ্জে যে সিভিল সার্জন আসেন-তাকেই ম্যানেজ করে নেন হিসাবরক্ষক ইকবাল। এছাড়াও সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের প্রধান অফিস সহকারি কাম হিসাব রক্ষক ইকবাল হোসেনের সম্পদের উৎস কোথায় জানতে ও দুর্নীতির প্রতিবাদে গত ৪/৫ বছর ধরে সুনামগঞ্জবাসী শহরে মানববন্ধনসহ আন্দোলন করে আসছেন।