বিকাল ৪:৪৯,   মঙ্গলবার,   ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

এবারও জগন্নাথপুরে কোরবানির পশুর চামড়া কেউ নেয়নি

ফাইল ছবি

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের সৈয়দপুর হোসাইনিয়া হাফিজিয়া আরাবিয়া দারুল হাদিস মাদরাসা এবার কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করেনি। গত কোরবানির ঈদে চামড়া বেচতে না পেরে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ৯শত পশুর চামড়া মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। এবার ওই মাদরাসা এছাড়াও ওই এলাকার কোন মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ঈদে চামড়া সংগ্রহ করা হয়নি। ফলে এসব এলাকার কোরবানিদাতারা চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
জানা যায়, প্রবাসী অধ্যুষিত এ উপজেলায় যুগযুগ ধরে প্রতিবছর কোরবানির পশুর চামড়া স্থানীয় কোরবানিদাতারা এলাকার মাদরাসা ও মসজিদসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নে স্বেচ্ছায় পশুর চামড়াগুলো দান করে আসছিলেন। গত বছরের ঈদুল আজহার কোরবানির চামড়া বেচতে না পেরে সৈয়দপুর হোসাইনিয়া হাফিজিয়া আরাবিয়া দারুল হাদিস মাদরাসার কর্তৃপক্ষ সংগ্রহকৃত ৯শত পশুর চামড়া মাদরাসার নিকটস্থ এলাকায় মাটিতে পুঁতে দেন। এবার ঈদের আগেই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানগুলো এলাকাবাসিকে জানিয়ে দেন, এবার কোরবানির চামড়া তাঁরা দেবেন না। এজন্যে চামড়া নিয়ে বিপা কে পড়েছেন অনেক কোরবানিদাতারা। সচেতন মহল মনে করছেন, চামড়া সংরক্ষণ করা না গেলে, চামড়া মাটিতে পুঁতে দেয়া হতে পারে কিংবা বন্যার পানিতে ফেলে দেয়ার শঙ্কা রয়েছে। ফলে পরিবেশের ভাস্যমান হুমকির মুখে পড়তে পারে। এমন ধারণা করছেন অনেকেই।
সৈয়দপুর হোসাইনিয়া হাফিজিয়া আরবিয়া মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা সৈয়দ ফখরুল ইসলাম, গতবছর কোরবানির ঈদের মাদ্রাসার উন্নয়নে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোনবানিদাতাদের নিকট থেকে কোরবানির পশুর ৯০০ চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছিল। এতে করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি আমরা।দিনভর উপেক্ষা করেও চামড়া কিনতে কেউ না আসায় অবশেষে কোন উপায় না পেরে মাটিতে পুঁতে দেয়া হয় চামড়াগুলো। তাই এবার চামড়া সংগ্রহ করা হয়নি। ঈদের আগেই এলাকারাসিকে নিজ নিজ উদ্যোগে চামড়া সংরক্ষণের জন্য আমরা বলে দিয়েছি।
এবিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান জানান, কোরবানির চামড়া সংরক্ষণের জন্য আমরা সচেতনতামূলক প্রচারনা করেছি। সৈয়দপুর এলাকায় চামড়াগুলো একটি স্থানে সংরক্ষণ করার জন্য এরইমধ্যে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে চামড়াগুলো সুরক্ষা করে সিলেট নগরীর চামড়া ব্যবসায়ীর নিকট হস্তান্তর করা হবে।