দুপুর ১:৪৭,   শনিবার,   ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

এমসি কলেজে ধর্ষণ : স্বীকারোক্তি দিলেন সুনামগঞ্জের তারেকসহ দুইজন


নিউজ ডেস্ক :
সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণীকে সংঘর্ষবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি তারেকুল ইসলাম তারেক ও মাহফুজুর রহমান মাসুম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার (৪ অক্টোবর) সিলেটের অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমানের আদালতে তারেক ও মহানগর হাকিম-২ সাইফুর রহমানের আদালতে মাহফুজ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
দুই আসামির স্বীকারোক্তি প্রদানের কথা নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারি কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী বলেন, তারা দুজনই ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করেছে। জবানবন্দি প্রদান শেষে তাদের কারগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ নিয়ে এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ৮ আসামিই নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করলেন।
এরআগে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে রোববার (৪ অক্টোবর) দুপুরে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে দিয়ে তারেক ও মাহফুজকে আদালতে হাজির করেন সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান (রহ.) থানা পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই তরুণীকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- এমসি কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, অর্জুন লস্কর, বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেকুল ইসলাম তারেক। মামলার অপর তিন আসামি অজ্ঞাত।
এজাহারভূক্ত ছয় আসামিসহ মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে প্রত্যেককে পাঁচদিন করে রিমান্ডে নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরমধ্যে গত শুক্র ও শনিবার সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, অর্জুন লস্কর, রবিউল, রাজন আহমদ ও আইনুদ্দিনকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হতে তারা ধর্ষণের দায় স্বীকার করে নিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেন।