কথার মাধ্যমেও ছড়ায় করোনাভাইরাস!
নিউজ সুনামগঞ্জ ডেস্ক :
করোনা সংক্রমিত কোনো ব্যক্তির কথা থেকে আসা জলীয় কণার মাধ্যমে আরেক জনের মধ্যে ভাইরাসটি ছড়াতে পারে বলে এক গবেষণায় তথ্য পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা।
১৩ মে বুধবার তাদের এ গবেষণা বিষয়ক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়।
এএফপির খবরে জানানো হয়, নতুন এক গবেষণায় জানা গেছে, শব্দ করে কথা বলার সময় মুখ থেকে বের হওয়া অতি ক্ষুদ্র জলীয় কণা বা মাইক্রোড্রপলেটস বদ্ধ স্থানে ১০ মিনিটেরও বেশি সময় বাতাসে ভেসে থাকতে পারে। কোভিড–১৯ ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এটি ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ডায়াবেটিকস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজের (এনআইডিডিকে) একজন গবেষক একটি বদ্ধ বাক্সের কাছে মুখ নিয়ে ২৫ সেকেন্ড ধরে ‘স্টে হেলদি’ শব্দটি উচ্চস্বরে উচ্চারণ করেন। বাক্সটিতে লেজার প্রজেক্ট ছিল। ফলে মুখ থেকে বের হওয়া জলীয় কণা সহজেই হিসাব করা গেছে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির (পিএনএএস) জার্নালে প্রকাশিত এ সমীক্ষায় দেখা গেছে, সেগুলো গড়ে ১২ মিনিট বাতাসে অবস্থান করে।
লালার মধ্যে করোনাভাইরাসের ঘনত্বকে মাথায় নিয়ে বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন যে, প্রতি মিনিট উচ্চস্বরে কথা বলার ফলে এক হাজারেরও বেশি ভাইরাসযুক্ত জলীয় কণা বের হতে পারে । একটি বদ্ধ স্থানে তা আট মিনিট বা তার বেশি সময় ধরে বাতাসে ভেসে থাকতে পারে।
গবেষকরা বলছেন, শব্দ করে কথা বলায় মুখ থেকে নিঃসৃত জলীয় কণার মাধ্যমে ভাইরাস বাতাসে ভেসে লোকজনকে সংক্রমিত করতে পারে। এপ্রিলে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন সাময়িকীতে প্রকাশিত এই গবেষক দলের আরেকটি নিবন্ধে বলা হয়, আস্তে কথা বললে মুখ থেকে জলীয় কণা তুলনামূলকভাবে কম বের হয়।