দুপুর ১:৫০,   শনিবার,   ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

ছাতকে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ; সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

ছাতক প্রতিনিধি :
ছাতকে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। রোববার পর্যন্ত উপজেলার নদ-নদীতে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। দ্বিতীয় দফা এ বন্যায় জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে পৌরসভাসহ উপজেলার ১৩ইউনিয়নের অন্তত ৩ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। পানিবন্দী হয়ে পড়া অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন।
উজানে প্রবল বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলের কারনে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানে প্রবল বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ছাতক-সুনামগঞ্জে ১৮৬ মি.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী সাবিবুর রহমান। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে রোববার বিকাল পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি ছাতক পয়েন্টে বিপদসীমার ১৭২সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শুক্রবার সকাল থেকে সুরমা নদীসহ সকল নদ-নদীতে পানিবৃদ্ধি পেয়ে এখানে দ্বিতীয় দফায় বন্যার সৃষ্টি হয়। এ পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। আগের বন্যার রেশ কমতে না কমতেই টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বন্যায় প্লাবিত হয়ে পড়েছে পৌরসভাসহ উপজেলার ১৩ইউনিয়ন। বানের পানিতে থৈ থৈ করছে মাঠের পর মাঠ, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি,মেডিকেল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও হাটবাজার। ইতোমধ্যে পৌর এলাকার বাসাবাড়িসহ বন্যা প্লাবিত হয়েছে গ্রামাঞ্চলের কয়েকশতাধিক ঘরবাড়ি।
বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া ছাতক-সিলেট সড়কে যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় ছাতকের সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলা সদরের সাথে ১৩টি ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
ছাতকের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কেএম মাহবুব রহমান জানান, বন্যার কারনে এখানে অসহায় হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থদের বন্টনের জন্য ৬০ মেট্রিকটন সরকারি চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ গোলাম কবির জানান, দূর্গতদের সহযোগিতায় শহরে দু’টি ও গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় দু’টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা লোকজনের মধ্যে রোববার দিনব্যাপী শুকনো খাবার বিতরন করা হয়েছে।