সকাল ৮:৩৫,   শনিবার,   ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২০শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

জনগণকে কথা দিয়েছিলাম পাশে থাকব, পাশেই আছি : মিজান চৌধুরী

স্টাফ রিপোর্টার :
নির্বাচনের পূর্বে জনগণ কে কথা দিয়ে বলে ছিলাম আমি আপনাদেরই ভাই, আপনাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকব, আমি কথার খেলাপ করিনি। আপনাদের পাশেই আছি আগামীতেও থাকব ইনশাআল্লাহ। করোনা ভাইরাসের এই ভয়াবহ সময়ে আমার প্রাণের মায়া ত্যাগ করে ছুটে চলেছি মানুষের দুয়ারে দুয়ারে। আমার সামর্থ্য মত সহায়তা তুলে দিচ্ছি মানুষের হাতে। অথচ এই দুঃসময়ে অসহায় মানুষদের পাশে যাদের থাকার কথা, তারা এখন এসি রুমে ঘুমোচ্ছেন। ঘুম থেকে উঠে দেখুন তাদের অসহায়ত্ব, তাদের পাশে দাঁড়ান। বিএনপির জাতীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) আসনে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী মিজানুর রহমান চৌধুরী উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন।
সোমবার (১৩ মার্চ) কর্মহীন, দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের ষষ্ঠ দিনে সুনামগঞ্জে দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।
মিজান চৌধুরী বলেন, করোনার প্রভাবে মানুষজন কর্মহীন হয়ে পরেছেন, দেখা দিয়েছে খাদ্য অভাব। এই দুর্যোগ সবাইকে ঐক্যবধ্য হয়ে মোকাবেলা করতে হবে, আর সেটি হলো সবাইকে সচেতন হয়ে ঘরে থাকতে হবে এবং বেশী বেশী সাবান পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। সবাইকে মনে রাখতে হবে একাত্তরে যুদ্ধ করে দেশকে পাক-হানাদার বাহিনী থেকে মুক্ত করা হয়েছিল আর এখন ঘরে থেকে দেশকে করোনা মুক্ত করতে হবে।
তিনি সরকার প্রধানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মানুষের মৃত্যুর পরে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করে লাভ নেই, জীবিত থাকতে বেশী বেশী পরীক্ষা করুন। দেশের সাধারণ মানুষ চিকিৎসায় বঞ্চিত হচ্ছে, তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন। কর্মহীন মানুষের ঘরে দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সংকট, খাদ্য সহায়তা দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ান। দেশে খাদ্যের অভাবে যেন কোন মানুষ মারা না যায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করুন।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের ষষ্ঠ দিনে দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ও নরসিংপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গাতে বিতরণ করা হয়।
বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন স্বানীয় নেতাকর্মীবৃন্দ।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারিতে গত ৭ এপ্রিল থেকে সুনামগঞ্জের ছাতক-দোয়ারাবাজার উপজেলার ২২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ১০হাজার মানুষে মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শুরু করেন মিজান চৌধুরী।