রাত ৯:০৭,   বৃহস্পতিবার,   ৩রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ৩০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

জামালগঞ্জে খাদ্যসামগ্রী বিতরণে বৈষম্যের শিকার দুই গ্রাম

জামালগঞ্জ প্রতিনিধি :
করোনাভাইরাসে ঘরবন্দী কৃষক, শ্রমিক, অসহায় পরিবারের বরাদ্দকৃত খাদ্যসামগ্রী থেকে বঞ্চিত হয়েছেন জামালগঞ্জের ভীমখালী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের হুগলী ও কৃষ্ণনগর গ্রামবাসী।সরকারের দেওয়া খাদ্যসামগ্রী এখনো পৌছেনি ওই দুই গ্রামে।
ভীমখালী ইউনিয়নে বন্টনকৃত ৪৫০ জনের তালিকায় এ দুই গ্রামের কোন অসহায় পরিবারের নাম নেই। এর সত্যতা পাওয়া যায় ইউনিয়ন সচিবের ফেইসবুক আইডিতে প্রকাশিত তালিকায়।
জানাযায়, হুগলী ও কৃষ্ণনগরে প্রায় সাতশ ভোটার। অত্র ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ভোটারের বড় অংশ এ দুই গ্রামে। অথচ করোনা ভাইরাসের মহামারীতেও সরকারের ত্রান বিতরণে বৈষম্যের শিকার দুই গ্রাম। হুগলী গ্রামের অসহায় পরিবার আব্দুল খালিক, আব্দুর রউফ, জুনাব আলী,সাফি আলম,আলি হুসেন কালা মিয়া, ওয়াব আলি,ফখরুল, ইরাজ আলি, আজিরুন নেছা, হুসনারা, ফুলেমা বেগম ও কৃষ্ণনগরের কাচা মিয়া, মন্তাজ আলি, মিয়াফর আলি, গুনজুর আলি, শামীম, সিরাজ আলি, দিলারা বেগম সহ আরও অনেকেই না খেয়ে দিন যাপন করছেন।
হুগলী গ্রামের আমিনুল হক বলেন,করোনাভাইরাসে গ্রামের অনেক দিনমজুর পরিবার না খেয়ে দিন যাপন করছে। এই ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান থাকা শর্তেও একটা অসহায় পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয় নাই।
কৃষ্ণনগর গ্রামের তোফায়েল আহমদ বলেন, আমরা চেয়ারম্যান বানাইছি মাটি কইয়া, এখন সেই মাটির চেয়ারম্যানের বৈষম্যের শিকার আমরা। গ্রামের অনেক অসহায় পরিবার রয়েছে যারা না খেয়ে আছে,একটা পরিবারও সরকারের ত্রাণ পায় নাই।
এ ব্যাপারে ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার আবু লেইছ এর সাথে যোগাযোগ করলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ইউনিয়ন চেয়ারম্যান দুলাল মিয়া বলেন, এই দুই গ্রামে খাদ্য বান্ধব পরিবার বেশি। তাই প্রথম কিস্তিতে কোন নাম তালিকায় দেওয়া হয় নাই,তবে ২য় কিস্তিতে দুই গ্রামের নাম তালিকায় আসবে।