তাহিরপুরে বাদাঘাট-গুটিলা সড়ক যেন মরণফাঁদ
আবির হাসান-মানিক :
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বড়দল (উত্তর) ইউনিয়নের বাদাঘাট-গুটিলা সড়কটি যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা।
বাদাঘাট-গুটিলা জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক ব্যবহার করেই বড়দল (উত্তর) ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, হাজী ইউনুছ আলী বিদ্যালয়, গুটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয়। তাছাড়া জয়নাল আবেদীন শিমুল বাগানে যেতে অনেকেই এ সড়ক ব্যবহার করেন। বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাট বাজারসহ উপজেলা সদরে যাতায়াতের মাধ্যমও এ সড়ক।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাদাঘাট-গুটিলা সড়কের মাঝখানে ছোট একটি কালভার্টের প্রায় পুরোটাই ধসে নিচে খসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে কালভার্টের পুরো অংশ ধসে পড়তে পারে। ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা। করোনা পরিস্থিতিতে এ রাস্তা দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চলাচল বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া জনসাধারণের চলাচলও সীমিত হওয়ার কারণে এ রাস্তা ধরে যান চলাচলও অনেকাংশেই কম। তবু কয়েকটি মোটরসাইকেল, ইজিবাইক চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়েই এবং তাতে ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা।
মানিগাঁও গ্রামের রিকশাচালক বাবলু মিয়া বলেন, কালভার্টের সামনে এসে যাত্রীদের রিকশা থেকে নামিয়ে দেই। পরে তাদের সহযোগিতায় কালভার্টের ভাঙা অংশের উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই রিকশা পার করি।
এ রকম ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা কালভার্টের উপর দিয়ে কেন রিকশা চালাচ্ছেন- এ প্রশ্নের জবাবে বাবলু মিয়া বলেন, ভাইরে দেশের এমন সময়ে রিকশা বের না করলে পরিবার নিয়ে চলবো কিভাবে। কিভাবে ঘরে বসে থাকি, কেউ তো আমাদের খাবার দেয় না।
পেশাদার মোটরসাইকেলচালক খালেক মিয়া বলেন, ঝুঁকি নিয়েই রাস্তায় বের হতে হয়। একে তো দেশের সময় ভালো না, অন্যদিকে গাড়ি নিয়ে বের না হলে খাবারও মিলে না।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বড়দল (উত্তর) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কাসেম এ প্রতিবেদককে বলেন, কালভার্টটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে কয়েকবার সংস্কার করেছি। পরিষদ থেকে এ রাস্তার জন্য আলাদা কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয় না। রাস্তার মাঝের ঝুঁকিপূর্ণ এ কালভার্টসহ সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহিত বার বার যোগাযোগ করে কেবল আশার বাণী শুনতে হয়েছে। কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।