দেশে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, আক্রান্ত বেড়ে ৫৪
নিউজ সুনামগঞ্জ ডেস্ক :
দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ জনে। এদের মধ্যে নতুন করে আরও একজন মারা গেছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয়জনে। ভাইরাসটি থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও একজন। অর্থাৎ মোট সুস্থ হয়েছেন ২৬ জন।
বুধবার (১ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) করোনাভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাস আছে বলে শনাক্ত হয়েছে। ফলে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ জনে। আর আগে থেকে যারা আক্রান্ত ছিলেন, তাদের মধ্যে আরও একজন মারা গেছেন। ফলে মোট মারা গেছেন ছয়জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন আরও একজন। এ নিয়ে মোট ২৬ জন সুস্থ হলেন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও নয়জনকে আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে আছেন ৭৩ জন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকার জনগণকে অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করলেও অনেকে এ নির্দেশনা মানছেন না। রাজধানীসহ সারাদেশে অনেকেই রাস্তায় বের হচ্ছেন, বাজারে ঘোরাফেরা করছেন ও চায়ের স্টলে আড্ডা মারছেন। বিশেষ করে ঢাকা থেকে যারা গেছেন তারাই ঘোরা-ফেরা বেশি করছেন। দেশকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবেন না। ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন।
রাজধানীসহ সারাদেশে করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা চাই না কেউ পরীক্ষার বাইরে থাকুক। কারও মধ্যে করোনার উপসর্গ থাকলে নমুনা পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করুন। নিজে সুস্থ থাকুন, পরিবারকে সুরক্ষিত রাখুন।
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের প্রায় দুইশ দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৮ লাখ ৫৯ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন প্রায় ৪২ হাজার ৩২২ জন। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি মানুষ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। এরপর দিনে দিনে সংক্রমণ বেড়েছে। সবশেষ হিসাবে করোনায় বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪ জন, মারা গেছেন ছয়জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২৬ জন।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে এই ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
ছুটির সময়ে অফিস-আদালত থেকে গণপরিবহন, সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি সেবা এই বন্ধের বাইরে থাকছে। জনগণকে ঘরে রাখার জন্য মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও।