রাত ৪:৫৭,   মঙ্গলবার,   ২৩শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ৭ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ১৬ই মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

দ.সুনামগঞ্জে ৬পিআইসির মধ্যে ৫জনকে কারাদণ্ড ও একজনকে মুচলেকা

স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির আওতায় ৫০টি ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। বাঁধের কাজ ক্রুটিপুর্ণ হওয়ায় উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের খাই হাওরের ৩১, ৩২ ও পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের খাই হাওরের ২৭, ২৮, ২৯, ৩০ নং পিআইসির সভাপতিকে আটক করে ৫ জনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ২দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রের ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেবুন নাহার শাম্মী। তাছাড়া পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের খাই হাওরের ৩১ পিআইসির সভাপতিকে মুচলেকায় মুক্তি দেন।
দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়রে খাই হাওরের ২৭নং পিআইসির সভাপিত মো. হিরণ মিয়া, ২৮নং পিআইসির সভাপতি এমরান হোসেন, ২৯ নং পিআইসির সভাপতি রুহুল আমীন, ৩০ নং পিআইসির সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম ও পূর্ব বীরগাঁও ইুনিয়নের খাই হাওরের ৩২নং পিআইসির সভাপতি সয়েজ নুর এবং পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের খাই হাওরের ৩১ নং পিআইসির সভাপতি জুবায়েল আহমদকে মুচলেকায় মুক্তি দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিস সুত্রে জানা যায়, সোমবার দিনব্যাপী দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পানি উন্নয়ন কমিটির সভাপতি জেবুন নাহার শাম্মী ও উপজেলা পানি উন্নয়ন কমিটির সদস্য সচিব ও উপ- সহকারি প্রকৌশলী ফারুক আল মামুন পশ্চিম বীরগাঁও ও পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নে বাস্তবায়িত বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন। পরিদর্শকালে খাই হাওরের ৬ প্রকল্পের কাজে ক্রুটি থাকায় পিআইসির সভাপতিদেরকে আটক করা হয়। পরে বিকাল সাড়ে ৫টায় উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও উপজেলা নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট জেবুন নাহার শাম্মী ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৫টি পিআইসির সভাপতিকে ২দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন এবং ৩১ নং পিআইসির সভাপতিকে মুচলেকায় মুক্তিদেন।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ফারুক আল মামুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বাঁধ পরিদর্শনকালে বাঁধের কাজে ত্রুটি থাকায় তাদেরকে আটক করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। ৩১নং পিআইসির কাজ মোটামোটি ভাল হওয়ায় তাকে মুচলেকায় মুক্তি দেয়া হয় ।