ধর্মপাশায় আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক শামীমকে অস্থায়ীভাবে বহিস্কার
![](https://newssunamganj.com/wp-content/uploads/2020/11/125314783_994019807748577_5782594617708046181_n-1024x581.jpg)
ধর্মপাশা প্রতিনিধি :
যৌন নির্যাতনের অভিযোগে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ মুরাদকে অস্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বিলকিসের উপস্থিতিতে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সময় কেন শামীম আহমেদ মুরাদকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হবে না তার জবাব চেয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে সন্তুষজনক জবাব দেওয়ার জন্য দপ্তর সম্পাদক গোলাম আযহারুল ইসলাম পুরকায়স্থ দিদারের স্বাক্ষরিত একটি শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে শামীমকে।
জানা যায়, গত বুধবার ঢাকার ৯নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এক নারী ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ মুরাদ ও কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজওয়ান আলী খানের (আর্নিক) বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন বলে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রচারিত হয়। সংবাদে বলা হয়, শামীম আহমেদ মুরাদ ও রেজওয়ান আলী খান পরস্পর একই দলভুক্ত ও একজোট। অভিযোগকারী নারী স্বল্পশিক্ষিত বিধায় তিনি যোগ্যতা অনুযায়ী অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। বৈশ্বিক মহামারির কারণে এর আগের কাজে নিয়োগপ্রাপ্ত না হওয়ায় অর্থনৈতিক দৈন্যদশায় দিনযাপন করছিলেন। আগের কাজের সুবাদে ওই নারীর সঙ্গে শামীম আহমেদ মুরাদের পরিচয় হয়। গত ২৭ অক্টোবর ওই নারী চাকরির আশায় মুরাদের সাথে যোগাযোগ করেন। চাকরি দেওয়ার কথা বলে নারীকে আর্নিকের অফিসে সাক্ষাৎ করতে বলেন। গত ১ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই নারী তাদের সাথে দেখা করতে গেলে তারা নারীর উপর যৌন নির্যাতন চালায়। সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত হলে ওই দুই নেতাকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। এ দিকে গত শুক্রবার বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগের সভাপতি ও সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেন রেজওয়ান আলী খানকে (আর্নিক) অনৈতিক কাজের জন্য স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হবে না তা জানতে চেয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক এম.এইচ, এনামুল হক রাজুর স্বাক্ষরিত একটি শোকজ নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। অপরদিকে অভিযুক্ত দুই নেতার শাস্তির দাবিতে একই দিনে ধর্মপাশায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তবে শামীম আহমেদ মুরাদ তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘কোনো অপরাধের সাথে কোনো দিন যুক্ত ছিলাম না, ভবিষ্যতেও থাকবো না। ঘটনার দিন আমি সুনামগঞ্জে ছিলাম। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগে অপরাধী বলার সুযোগ নেই, সেখানে উপজেলা কমিটি আমাকে অস্থায়ীভাবে বহিস্কার করতে পারেনা। উপজেলা কমিটি এ ব্যপাারে জেলা কমিটিকে লিখতে পারে। জেলা কমিটি বিষয়টি বিবেচনার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠালে কেন্দ্রীয় কমিটি এ ব্যাপারে সিন্ধান্ত নিতে পারে।’