ধর্মপাশায় এক শিক্ষকের দুই কলেজে চাকরি

ধর্মপাশা প্রতিনিধি :
ধর্মপাশা উপজেলার এক শিক্ষক একই সাথে দুটি কলেজে চাকরি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নূরুল আমিন নামের ওই শিক্ষক ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুন্ডা কলেজের অধ্যক্ষ ও সিলেটের জৈন্তাপুর তৈয়ব আলী ডিগ্রি কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। বংশীকুন্ডা কলেজ এমপিওভূক্ত হলে জৈন্তাপুর তৈয়ব আলী ডিগ্রি কলেজ থেকে পদত্যাগ করে বংশীকুন্ডা কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে বহাল থাকার জন্য এমন কৌশল নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
জানা যায়, শিক্ষক নূরুল আমিন ২০০০ সালে জৈন্তাপুর তৈয়ব আলী ডিগ্রি কলেজে প্রদর্শক হিসেবে নিয়োগ পান। পরে ২০১২ সালে একই কলেজে কৃষি শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক নিযুক্ত হন। পরের বছর অথ্যার্ৎ ২০১৩ সালে তিনি বংশীকুন্ডা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রথম দিকে তিনি বংশীকুন্ডা কলেজে সময় দিলেও এখন তিনি জৈন্তাপুর তৈয়ব আলী ডিগ্রি কলেজে পুরো সময় ব্যয় করছেন। তাঁর অবর্তমানে বংশীকুন্ডা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক সোনিয়া খানম অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদেরসহ বিভিন্ন কাগজপত্রে কখনও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবার কখনও শুধু অধ্যক্ষ হিসেবে নূরুল আমিনের সিল স্বাক্ষর ব্যবহার হচ্ছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক নূরুল আমিন বলেন, ‘আমি একই সাথে দুটি কলেজে চাকরি করছি না। আমি জৈন্তাপুর তৈয়ব আলী ডিগ্রি কলেজের একজন প্রভাষক। আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেখিয়ে বংশীকুন্ডা কলেজের কার্যক্রম শুরু করা হয়। বংশীকুন্ডা কলেজ থেকে কোনো বেতন ভাতা নেইনা। আমি বংশীকুন্ডা কলেজের অধ্যক্ষ নই; পরামর্শক হিসেবে কাজ করছি।’
বংশীকুন্ডা কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি রাসেল আহমেদ মুঠোফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা যায়নি।
সুনামগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘লিখিতভাবে দুই প্রতিষ্ঠানে থাকতে পারবেনা এবং কাগজেপত্রে দুটি প্রতিষ্ঠানে থাকলে একটি থেকে পদত্যাগ করতে হবে।’
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবু তালেব বলেন, ‘যদি ওই শিক্ষক একই সাথে দুটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে তাহলে খোঁজ নিয়ে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’