ভোর ৫:৫৬,   মঙ্গলবার,   ২৩শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ৭ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ১৬ই মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

পাহাড়ি ঢলে তাহিরপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, বন্যার শঙ্কা

তাহিরপুর প্রতিনিধি :
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর গত ৩ দিনের অবিরাম বৃষ্টিপাতে তাহিরপুরের ৭টি ইউনিয়নের ২ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের লোকজন। এছাড়াও ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে নদ-নদী, হাওড়-বাওরের পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার রাস্তাঘাট প্লাবিত হচ্ছে। এতে করে উপজেলার সাথে ৭টি ইউনিয়নের আন্তঃসড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক লোকজন।
এদিকে যাদুকাটা, পাঠলাই, বৌলাই ও রক্তি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ঘরবাড়িসহ হাটবাজার গুলোতে পানি প্রবেশের খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল। এতে যাতায়াত ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
অপরদিকে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের আনোয়ারপুর সেতুর পূর্বাংশের এপ্রোচ নির্মাণাধীন সড়কটি ৩ ফুট পানির নীচে থাকায় জেলা সদরের সাথে উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে উপজেলার অনেক পুকুর ও জলাশয়ের মাছ ভেসে গিয়েছে অপরদিকে গত ৩ দিনেরও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ-বিহীন থাকায় বিপাকে পড়েছে বিভিন্ন কারখানার মালিকসহ সাধারণ লোকজন।
বাদাঘাট (উ.) ইউনিয়নের সোহালা গ্রামের বাসিন্দা কৃষি উদ্যোক্তা হোসেন রাজা বলেন, আমার কৃষি জমি ও বাগানে পানি প্রবেশ করায় অনেক ক্ষতি হচ্ছে, পুকুরের অনেক মাছ ভেসে গিয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ জানান, পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম বৃষ্টিপাতে উপজেলার ২টি ইউনিয়নের আংশিক ও বাকি ৫টি ইউনিয়নে অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উদ্ভূত বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।