মাইজবাড়ির ঝুনু হত্যা ; স্ত্রীর পরকীয়া জেনে ফেলায় ছোট ভাইয়ের হাতে খুন
বিশেষ প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জ শহরতলীর মাইজবাড়ি গ্রামের ঝুনু মিয়া হত্যাকাণ্ডে ঘটনায় রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় দৃশ্য দেখে ফেলায় আপন ছোট ভাইয়ের হাতে খুন হন ফার্নিচার ব্যবাসয়ী ঝুনু মিয়া।
মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ক্লুলেস মামলাটির রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত নিহতের স্ত্রী ও ভাইকে ইতোমধ্যে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের স্ত্রীও আদালতে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানান, নিহত ঝুনু মিয়ার বড় ভাইয়ের ছেলে অসুস্থ থাকায় বুধবার রাতে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় হয় তাকে। শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই চিকিৎসকরা তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। অসুস্থ শিশুটিকে সিলেটে যাওয়ার সব ব্যবস্থা করে রাতেই বাড়ি ফেরার উদ্দেশে রওনা হন ঝুনু মিয়া। রাতে বাড়িতে না ফেরায় সকালে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে বাড়ি’র সামনের পূর্বদিকে ত্রিপল দিয়ে ঢাকা লাশ দেখতে পাওয়া যায় তার।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) নির্মল দেব জানান, পুলিশ সুপারের সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে সদর সার্কেল’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ও থানা পুলিশের একটি চৌকস দলের ২ দিনের অক্লান্ত প্রচেষ্টা, বিজ্ঞান ভিত্তিক তদন্ত অনুসন্ধানের একপর্যায়ে নিহত জুনু মিয়ার স্ত্রী কে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া নিহতের ভাইকে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।
পরে আদালতে নিহতের স্ত্রী হাফসা বেগম (জুনু মিয়ার স্ত্রী) স্বীকারোক্তি প্রদান করে জানায়, স্বামীর ছোট ভাইয়ের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল তাঁর। বুধবার মধ্যরাতে পরকীয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে গেলে ছোট ভাই রাসেল মিয়া গামছা প্যাঁচিয়ে বড় ভাই জুনু শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এতে সে(নিহতের স্ত্রী) সহায়তায় করে। পরে বাড়ি’র সামনের পূর্বদিকে ত্রিপল দিয়ে লাশঢেকে রাখে তারা।