সকাল ৯:৩৫,   শনিবার,   ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২০শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

রাতে হাওরে গিয়ে ধান কাটলেন ডিসি-ইউএনও-চেয়ারম্যান

স্টাফ রিপোর্টার :
সুনামগঞ্জের কৃষকের প্রাণ বোরো ফসল দ্রুত ঘরে তুলতে ও কৃষকদের উৎসাহ প্রদান করতে রাতে হাওরে গিয়ে ধান কাটলেন জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও চেয়ারম্যান।
বৃহস্পতিবার রাতে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের জলভাঙ্গা হাওরে এক কৃষকের ধান কেটে দেন তারা। এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন নাহার রুমা, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপলকেও কাস্তে হাতে নিয়ে ধান কাটতে দেখাযায়।
জানাযায়, করোনাভাইরাস মোকাবেলার পাশাপশি আগাম বন্যার হাত থেকে সুনামগঞ্জের বোরো ফসলরক্ষার ক্ষেত্রে দিনের বেলার পাশাপাশি রাতেও ধান কাটার জন্য কৃষক ও শ্রমিকদের উৎসাহ প্রদানের ক্ষেত্রে এ উদ্যোগ নিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রেরিত ৪০ টি কোম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে যেনো কৃষকরা দ্রæত ধান কাটতে পারে সেজন্যও এ রাতের বেলায় ধান কাটার জন্য কৃষকদের উৎসাহ প্রদান করা হয়। এ সময় রাতে হাওরে ধান কাটার জন্য কৃষকদের কোন সহযোগিতার প্রয়োজন হলে প্রশাসন করবে বলেও জানায় কর্তৃপক্ষ।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন নাহার রুমা বলেন, যেহেতু আমরা একটি সর্তকবার্তা পেয়েছি তাই আমরা চাচ্ছি না কৃষকদের ধানগুলো নষ্ট হোক। তাছাড়া সদর উপজেলায় ১১টি কোম্বাইন হারভেস্টার দেওয়া হয়েছে আমরা চাচ্ছি সেগুলোর ব্যবহার করে এবং হাত দিয়ে কাজ করে দ্রæত হাওরের ধানগুলো কেটে নেওয়ার। এতে করে বন্যা আসলেও কৃষকের ফসল ঘরে উঠে যাবে।
এব্যপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের ৪০টি কোম্বাইন হারেভস্টার দিয়েছেন এবং এগুলো দিনে ৮ ঘন্টা চলার পর বিরতি দিতে হয়, তাই চিন্তা আসলো যেহেতু দিনের বেলায় কাজ হচ্ছে এবং বিকেলে দিকে যান্ত্রটি বিরতি দেওয়া হচ্ছে তাহলে সেটি রাতেও ব্যবহার করা যাবে। বন্যা আগে যদি আমরা শতভাগ ধান ঘরে তুলে ফেলতে পারি তাহলে কৃষকরা শান্তিতে থাকতে পারবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভুমি মো. আরিফ আদনান, উপজেলা কৃষি অফিসার সালাহ উদ্দিন টিপু, গৌরারং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফুল মিয়া প্রমুখ।  
উল্লেখ্য, এবছর সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলার ছোট-বড় ১৫৪টি হাওরে দুই লাখ ২০ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ১৩ লাখ মেট্রিক টন।